ওয়েবডেস্ক- প্রকল্পের (Project) টাকা আটকে রাখার অভিযোগে কেন্দ্রের (Central) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supeme Court) মামলা তামিলনাড়ু সরকারের (Tamilnadu Government) । ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি এবং পিএম-শ্রী কার্যকর না করায় সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। ওই প্রকল্প অনুযায়ী প্রাপ্য ২২৫১ কোটি টাকা সুদসহ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে বলার জন্য নির্দেশ দেওয়ার দাবি নিয়ে মামলা।
জাতীয় শিক্ষানীতি এবং পিএম শ্রী রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে কার্যকর না করার কারণে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা অসাংবিধানিক, বেআইনি, অযৌক্তিক এবং কার্যকারণহীন বলে দাবি ওই রাজ্য সরকারের।
সংশ্লিষ্ট প্রজেক্ট এপ্রুভাল বোর্ড রাজ্যের কাজকর্মে সন্তুষ্ট হয়ে মোট ৩৫৮৫ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে। এই অর্থের ৬০ শতাংশ কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। অর্থাৎ যার পরিমাণ ২১৫১ কোটি টাকারও বেশি। ওই অর্থ ২০১৪ সালের এক এপ্রিল থেকে রাজ্যের পাওনা।
আরও পড়ুন- অধ্যাপকের গ্রেফতারিতে বিরাট মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের, চ্যালেঞ্জের মুখে গ্রেফতারি?
কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে, ওই প্রকল্পের অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি ও পিএম-শ্রী প্রকল্প সম্পর্কযুক্ত। অথচ রাজ্য শুরুতেই জানিয়ে দেয়, জাতীয় শিক্ষানীতি যেহেতু ত্রিভাষা নীতি নির্ভর, তাই ওই প্রকল্প কার্যকর করা হবে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে ভাষাগত দ্বন্দ্বের কারণে ফের নতুন তরজা শুরু হল। এমকে স্ট্যালিন সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকারে বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যটি জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন না করার কারণে ২,১৫১ কোটি টাকার তহবিল আটকে দিয়েছে। ডিএমকে সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করেছে।
যেখানে তিন ভাষার সূত্রের সুপারিশ করা হয়েছে, যার অধীনে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি এবং একটি আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভাষা শিখবে। তামিলনাড়ু সরকার অভিযোগ করেছে যে ত্রিভাষা সূত্র দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে হিন্দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কেন্দ্র এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে জানিয়েছে, ত্রি-ভাষা সূত্রের লক্ষ্য ভারতীয় ভাষাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা।
দেখুন আরও খবর-