কলকাতা: বাঙালি ও ভারতে মকর সংক্রান্তি হল অতি পবিত্র একটি দিন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, ধনু রাশি থেকে মকর রাশিতে সূর্য প্রবেশ করে এই দিনে। এদিন থেকেই শুরু উত্তরায়ণ। আগামিকাল, সোমবার ভোর ৬টা ২৪ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পুণ্যস্নানযোগ। সংক্রান্তি পড়বে আজ (১৫ জানুয়ারি) রাত ২টো ৫৪ মিনিটে। মহাস্নানযোগ সকাল ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৮টা ১৫ মিনিটে শেষ। আর সকাল ৯টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ৫ মিনিট পর্যন্ত শাহিস্নান। তবে ব্রাহ্ম মুহূর্ত রাত ২টো ৫৪ মিনিটে স্নানেই মহাপুণ্য বলে শাস্ত্রে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গো-সেবা মোদির
এই দিনটি কোন রাজ্যে কীভাবে পালিত হয়?
মহারাষ্ট্র
মারাঠিরা এই দিনে তিলগুড়ি বা তিলের লাড্ডু তৈরি করেন। যা বাড়ির এবং প্রতিবেশীদের দিতে হয়। মারাঠি কথায় আছে, তিল গুল ঘিয়া গোড় গোড় বোলা। যার অর্থ তিলগুড় খাও আর ভালো ভালো কথা বলো।
গুজরাত
গুজরাতে একে উত্তরায়ণ নামে ডাকা হয়। পৌষের বদ সতম অর্থাৎ বাংলায় মলমাসের শেষ। এই দিনে গুজরাতি নানান ধরনের মিষ্টি তৈরি করেন এবং গোটা রাজ্যের আকাশ ছেয়ে যায় নানা বর্ণের, নানা আকারের ঘুড়িতে। প্রতিযোগিতাও হয় বিভিন্ন জায়গায়।
উত্তরপ্রদেশ
রাজ্যে এই দিনে বাড়ি বাড়ি খিচড়ি বা কিচেড়ি রান্না হয় এবং ভগবানকে নিবেদন করে প্রসাদ বিলি করা হয় প্রতিবেশীদের।
পঞ্জাব
মাঘি নামে পালিত হয় পঞ্জাবে। সংক্রান্তির আগের দিনটি পালিত লোহরি উৎসবে। নাচ-গানের মাধ্যমে দিনটি পালন করেন আপামর পঞ্জাবিরা।
তামিলনাড়ু
পোঙ্গল নামে অধিক পরিচিত। পোঙ্গলের আগের রাতে ভাগি বা আগুন জ্বেলে নাচগান হয়। তামিলনাড়ুতে চারদিনের সরকারি ছুটি পোঙ্গলে। ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পালিত হবে উৎসব।
পশ্চিমবঙ্গ
পৌষের মলমাস কেটে গিয়ে মাঘ মাস শুরু হবে। তাই সংক্রান্তির দিনে গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদী, পুকুর, জলাশয়ে স্নান করে পুজো দেন বাঙালিরা। এই পুণ্যস্নানে মোক্ষলাভ হয় বলে বিশ্বাস রয়েছে। এছাড়াও নলেন গুড়ের নানান পুলিপিঠে তৈরি হয় গ্রামবাংলায়।
অন্য খবর দেখুন