ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে, বলো বলো বলো সবে, শত বীণা বেণু রবে। আমরা গাইতাম ছোটবেলায়, আমাদের বাবা, কাকা, মা, মাসিরা গাইতেন। সেই গান গাইতে গাইতে ৭৭টা বছর কেটে গেল। সেই বিভাজিত স্বাধীনতার বছরে যে শিশু জন্ম নিয়েছিল সে আজ ৭৭ বছরের বৃদ্ধ, এখন চারদিকে জামাল কুদু শোনেন, নাতিও মাথায় গ্লাস রেখে নাচে। এখনও কিছু মানুষজন বেঁচে আছেন, যাঁদের কেউ কেউ ব্রিটিশ জেলে জেল খেটেছেন, ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ছিলেন, বিপ্লবীদের ডেরায় পৌঁছে দিয়েছেন প্যাকেট, কী আছে তাতে জানার চেষ্টাও করেননি, কেউ দেখেছেন তার দাদা, কাকাকে ফাঁসিতে চড়তে। তাদের চোখে এখন ক্যাটারাক্ট অপারেশনের পরে ঝাপসা দৃষ্টি, কানে শুনতেও পান না, মনে হয়তো বাজে বলো বলো বলো সবে, শত বীণা বেণু রবে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ট আসন লবে। তিনি জানেনও না যে সেই ৪২-এর স্বাধীনতা সংগ্রামী, অজয় মুখার্জি, সতীশ সামন্ত, সুশীল ধাড়াদের যারা পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেই লোকজনেরা এখন দেশের ক্ষমতায়। অনেকে জানার আগেই মারা গেছেন যে সেই ৪২-এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পূণ্যভূমিতে এখন পদ্মফুলের চাষ হয়। না সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, নেতাজি যে তরুণের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, সেদিকে খুব বেশি এগোতে পারেনি আমাদের দেশ। তবুও মানুষের সরকার হয়েছে, রাস্তাঘাট হয়েছে, স্কুল কলেজ হয়েছে। ভারত জগৎসভায় শ্রেষ্ট আসন পায়নি বটে কিন্তু ভারত পৃথিবীর দেশগুলোর কাছে এক সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছিল। আমেরিকা বলেছিল নৌবহর পাঠাবে, রাশিয়া বলেছিল আমরাও আসছি তাহলে। হ্যাঁ, কোথাও এক শক্তির ভারসাম্যের খেলায় ভারতের এক জায়গা ছিল, তার একশো, একশো কুড়ি, তিরিশ কোটি মানুষের মধ্যে কখনও সখনও লেগেছে সংঘাত, কিন্তু তা মিটেও গেছে আবার। আজানের ডাকে, মন্দিরের মন্ত্রোচ্চারণে আর গির্জার ঘন্টাধ্বনির সঙ্গে অনায়াসে মিশেছিল গুরুদ্বারার গুরু গ্রন্থ সাহিব পাঠ।
কিন্তু আমরা জানতেও পারিনি, এরই মধ্যে লতায় পাতায় বিষ জমেছে, বিভেদের বিষ ছড়িয়েছে, এক অসম্ভবকে সম্ভব করে সেদিন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশ্বাসঘাতকের দল নিয়েছে সেন্টার স্টেজের দখল, আমাদের ভুলের সুযোগ নিয়ে, আমাদের দলাদলি আর রাজনৈতিক ভুলের ফাঁকে। এবং দেশের মানুষ হঠাৎই শুনতে শুরু করল, তাদেরকে বোঝানো শুরু হল যে স্বাধীনতার পরে কিছুই হয়নি, গান্ধী আসলে দেশকে বেচে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের কাছে, নেহরু ছিলেন একজন বিলাসী পুরুষ যিনি দেশের কোনও কাজই করেননি। শোনা গেল এটাও যে নাথুরাম গডসে একজন দেশপ্রেমিক। জানা গেল আমাদের দেশের সংখ্যালঘুরা আসলে এক একজন টেররিস্ট। এবং এসব প্রচারের মধ্য দিয়েই অবতীর্ণ হলেন এক যুগপুরুষ, আমরা শুনলাম মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, আমরা শুনলাম এই তো এবারে দেশের উন্নয়নের কাজ শুরু হল। বলা হল মাদার অফ ডেমোক্রেসির ফাদারের হাত ধরে ভারত হবে বিশ্বগুরু। দেখছেন না সাদা চামরার সাহেবরা কেমন জড়িয়ে ধরছেন আমাদের যুগপুরুষ চায়ওলাকে। সেই এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার্স করা চৌকিদার ক’দিনের মধ্যেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি একজন হ্যাবিচুয়াল লায়ার, একজন প্যাথোলজিকাল লায়ার বললেও কম বলা হয়। তিনি জানালেন ভারতবর্ষকে কেউ আগে চিনতই না, এখন তিনি আসার পরে মানুষ নাকি ভারতের নাম প্রথমবারের জন্য শুনছে। এই কথা বলার মধ্যেই যে প্রচণ্ড অশিক্ষা আর এক ধরনের ঔদ্ধত্য আছে সেটা আলাদা করে বলতে হবে না। তো সেই উনিজির ১২ বছরের শাসনের পরে এক সংকটের সময়ে দেখলাম ভারত একা। বৈসরনে, পহলগামে ঘটনা ঘটার পরে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সেই ঘটনার নিন্দে করেছে। কিন্তু যখন যুদ্ধ শুরু হল, তখন পাকিস্তান সঙ্গে পেল চীনকে, পেল টার্কি, আজারবাইজানকে। আমাদের পাশে কেউ নেউ, ইন ফ্যাক্ট সেই শুরুর দিনেই মার্কো রুবিও বলেছিলেন, ও নিয়ে আমরা নাক গলাতে যাবই না। না, পুতিন আসেননি, তিনি তাঁর দেশে বসে চীনের সঙ্গে বৈঠক সারছিলেন। ভিয়েতনাম থেকে ব্রাজিল, জাপান থেকে মেক্সিকো, ইউরোপের কোনও একটা দেশও আসেনি। ইউরোপে, আমেরিকার সাংবাদিক বন্ধুদের কয়েকজনের কেবল একটা প্রশ্ন ছিল, ক’টা রাফাল পড়েছে।
এতটা একলা আমরা কবে ছিলাম? আমাদের প্রতিবেশী দেশের মানুষের, সরকারের সমর্থন নেই, বিশ্ব জনমত সঙ্গে নেই, বলো বলো বলো সবে, শত বীণা বেণু রবে, ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে। সমস্যাটা কোথায়? ৮৬০০ কোটি টাকার প্লেন কিনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদেশ ওদেশ। আজ এতদিন পরে তাঁর মনে হয়েছে দেশের বিরোধী দলের মধ্যেও কিছু মানুষ আছে, যাঁরা পৃথিবীর মানুষের সামনে ভারতের অবস্থান জানাতে পারবে। ক’দিন আগেই বিশ্বগুরুর দেশের মানুষজনদের অনায়াসে হাতে হাতকড়া পরিয়ে, মাথার পাগড়ি খুলিয়ে, টয়লেট পর্যন্ত ব্যবহার না করতে দিয়ে, পানীয় জল না দিয়ে যুদ্ধবিমানে করে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সেই ভারতীয় নাগরিকদের যাঁরা নাকি অবৈধভাবে আমেরিকাতে ঢুকেছিল, ওদিকে একরত্তি দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রথমে প্লেন ফেরত পাঠালেন, তারপর নিজেদের বিমান পাঠিয়ে আনালেন তাঁর দেশবাসীদের। বিশ্বগুরু তখন ইলন মাস্কের ছেলেকে চই চই চই চই বলে আদর করছেন, বাইডেনকে সাথ মেরা পুরানা দোস্তি হ্যায়, জি টোয়েন্টির সময় বলেছিলেন, সম্ভবত ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহেব সেটা খেয়ালও করেছিলেন, তাই পাশে দাঁড়িয়েই ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানকে জানিয়ে দিলেন, আপনাদের দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করা অসম্ভব। সেই মোদিজি এখন আরও একলা। উগ্রপন্থীরা দেশের মধ্যে ঢুকে দেশের ২৭ জনের প্রাণ নিল, আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, অমন সাধের ইতালি, জার্মানি, একজনও সোজা ভাষায় পাকিস্তানের সমালোচনা করেছে, একজনও না, হ্যাঁ জ্ঞান দিয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা করে এক সমাধানে আসা সম্ভব ইত্যাদি ইত্যাদি। এদিকে বিশ্বগুরুর উপরে চাপ বাড়ছে, ওদিকে বাস্তব অবস্থারও চাপ আছে। এমনকী বাংলাদেশও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পিছপা নয়। আর হবেই বা কেন? বন্ধু আদানিকে নিয়ে গিয়ে যে ঘোটালা পাকিয়েছেন তা সামাল দিতে আশ্রয় দিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে, না পারছেন গিলতে না পারছেন ওগরাতে। বাংলাদেশ পর্যন্ত আমেরিকার ট্যারিফ নিয়ে এক স্বাধীন মতামত দিয়েছে, কিন্তু সবটা এক নিঃশ্বাসে মেনে নেওয়ার পরেও আমেরিকা গোটা ব্যাপারটাকে ঝুলিয়ে রেখে ল্যাজে খেলাচ্ছে।
এইরকম একটা সময়ে আবার পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা এবং ছোটখাটো একটা যুদ্ধ। এবং ঠিক তার আগেই একটা সুযোগ এসেছিল ভারতের হাতে, পৃথিবীর বড় দেশগুলোর সামনে পাকিস্তানের এই হামলার কথা তুলে ধরা, প্রমাণ দিয়ে জানানো যে এ ধরনের হামলা চললে আমরা বাধ্য হব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। সুযোগ হাতের মধ্যে, কিন্তু তা ব্যবহার করলেন না মোদিজি, মোদি সরকার। পুতিনের আমন্ত্রণ খারিজ করলেন মোদি, রাজনাথ সিং। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত লাল ফৌজের জয়ের ৮০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি বছরের মতো এবারেও ৯ মে মস্কোর রেড স্কোয়্যারে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছিল। অন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মতোই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে মোদি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অস্বীকার করেছিলেন, সম্ভবত সেই সময়ে এই আক্রমণের প্রস্তুতি চলছিল, তো সেখানে নিজে না গেলেও রাজনাথ সিং বা জয়শঙ্করকে পাঠাতেই পারতেন। তার বদলে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠকে পাঠানো হয়েছিল, কে তিনি? কেউ জানেন? তাছাড়া একজন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর স্বাভাবিকভাবেই সেই গুরুত্ব থাকা সম্ভব নয়। কেবল পহেলগাম হামলার পর তৈরি হওয়া প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে, মোদি এবং রাজনাথ সিং এই অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু একজন বিকল্প কেউ তো যেতেই পারতেন, আর যাওয়াটা জরুরিও ছিল। অবশ্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী এই আন্তর্জাতিক সমাবেশে মোদিজির অনুপস্থিতি মোটেই নতুন কিংবা আকস্মিকও নয়। গত ২০২০-তেও বিজয় দিবসের ৭৫ বছরপূর্তির অনুষ্ঠানে মোদিজি অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর বদলে ছিলেন রাজনাথ সিং। কূটনৈতিক দিক থেকে এই সমাবেশের শুধু কেবল আনুষ্ঠানিক গুরুত্ব ছিল এমন নয়, কূটনৈতিক গুরুত্বও ছিল অপরিসীম। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মস্কোয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ছিল সাম্রাজ্যবাদ ও একচেটিয়া দখলদারির বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের একজোট হওয়ার মঞ্চ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলো আবার সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ জিগিরের মুখোমুখি। আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে তৃতীয় বিশ্বের খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প, এরকম একটা আবহ তৈরিই আছে। কাজেই যাবতীয় অন্যায় আক্রমণ, হানাদারি তৎপরতার বিরুদ্ধে বিজয় দিবসের এই মঞ্চে উপস্থিত থেকেই উন্নয়নশীল দেশগুলির ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করাটাই ছিল স্বাভাবিক। তাছাড়া ব্রিকস ও জি-৭৭’র মতো বহুপাক্ষিক জোটের অংশ এমন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতিরা এই অনুষ্ঠানে ছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং, কিউবার রাষ্ট্রপতি মিগুয়েল দিয়াজ-কানাল, প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস, ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তো লাম, ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা দা সিলভা, বুরকিনা ফাসোর রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম ত্রাত্তরে সহ সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার থেকে ভেঙে গিয়ে তৈরি হওয়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। তাঁরা সবাই ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত মস্কোয় ছিলেন। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এই দেশগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি শীর্ষ সম্মেলন এবং সামরিক, বাণিজ্যিক ও যৌথ উন্নয়নের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সেখানে ভারত উপস্থিত থেকে বড় রকমের কূটনৈতিক সাফল্য পেতেই পারত, বিশেষ করে যে অনুষ্ঠানে পাকিস্তান আমন্ত্রণও পায়নি। আসলে এই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত দেশের প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গেই আমেরিকার সম্পর্ক খুবই খারাপ। এই সমস্ত দেশের মানুষের আমেরিকা কিংবা পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কিউবা, ভেনেজুয়েলা কিংবা চীনের মতো বেশ কিছু দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকা সমেত বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ এখনও বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ চাপিয়ে রেখেছে। এই সমস্ত দেশের প্রধানদের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত থেকে কি তবে ট্রাম্প ও তাঁর দোসরদের বিরাগভাজন হতে চাইছিলেন না মোদি? হতেই পারে, এখন আমও গেছে ছালাও গেছে, বিশ্বগুরু গুরুত্ব হারাচ্ছেন, আর ক্রমশ একলা হয়ে পড়ছেন।
ভাবুন না পুতিনকে জড়িয়ে ধরে তিনি কত নাটক করেছিলেন সেই পুতিন মাত্র ক’দিন আগেই এমআই ৩৫ আট্যাক হেলিকপ্টার আর ১২২ এমএমবিএম ২১ রকেটের ভাণ্ডার পাঠিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানে। ওদিকে ক্ষমতায় এসেই ভারত সমেত বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ব্রিকস ঐক্যের অংশ এমন সমস্ত দেশকে ১০০ শতাংশ শুল্কের ভারে ‘ধুলিসাৎ করে দেওয়ার হুমকি দেন এই মার্কিন রাষ্ট্রপতি, যে ব্রিকস-এ ভারত অন্যতম শরিক। এই ফাঁপা হুমকির গুঁতোয় ব্রিকস সহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক জোট থেকে পিছিয়ে আসা শুরু করেছে নয়াদিল্লি, যার ফলে ভারত বিশ্বের কূটনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে ক্রমশ একলা হচ্ছে। বিজয় দিবসে অনুপস্থিতি তারই অঙ্গ। আসলে সব নৌকাতে পা দিয়ে চলার এক অপরিসীম মূর্খতাই আজ আমাদের এই জায়গাতে এনে দাঁড় করিয়েছে।