ওয়্রেবডেস্ক- করোনার (Corona) ঢেউ আছড়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বে। সামাজিক থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দাঁড় করিয়েছিল গোটা দুনিয়াকে। করোনার কারণে কমেছে মানুষের ইম্যুইনিটি ক্ষমতা। ফের সেই করোনা আতঙ্ক! সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে নতুন করে সংক্রমণে ঢেউ বাড়ছে।
ফের নয়া ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্টের (Omicron subvariant) আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলছে। রোগীরা মূলত LF.7 এবং NB.1.8-এ আক্রান্ত, যেগুলি মূলত জেএন.১-এর সাবভ্যারিয়েন্ট।
আরও পড়ুন- ঋণ দিলেও IMF -এর সন্দেহের চোখে পাকিস্তান! ঘাড়ে চাপানো হল ১১ টি শর্ত
সিঙ্গাপুরে ২০২৫ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে ছিল ১১ হাজার, মে মাসে প্রথম দিকেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। যদিও কর্মকর্তারা
জেএন. ১(JN.1) ভ্যারিয়েন্ট কী?
JN.1 এর মূল খুঁজে পায় Omicron সাবভেরিয়েন্ট BA.2.86, যা Pirola নামেও পরিচিত। প্রথমে লুক্সেমবার্গে সনাক্ত করা হলেও, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং পরে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে JN.1 এর নির্দিষ্ট মিউটেশন থাকতে পারে যা এর সংক্রমণ বৃদ্ধি করে, যার ফলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে জেএন ওয়ান কোভিড ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানব শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ততটা শক্তিশালী নয়।
JN.1 অন্যান্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মতোই শ্বাস-প্রশ্বাসের ফোঁটা এবং হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। হু জানিয়েছে, কোভিডের ওমিক্রন প্রজাতির সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি-১ প্রতিরোধে তৈরি হওয়া এক্সবিবি ১.৫ জেএন ওয়ান টিকা জেএন ওয়ানের ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করছে।
JN.1 এর লক্ষণ-
জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁচি, গলা ব্যথা, গলায় চুলকানি-জ্বালা, কাশি। পাশাপাশি মাথাব্যথা, শরীরের পেশিতে ব্যথা, অবসাদ, ক্লান্তি বোধ থেকে স্বাদ, গন্ধ হারিয়ে যাওয়া।
দেখুন আরও খবর-