ওয়েবডেস্ক: সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও বিদেশ সচিবকে (Foreign Secretary) শুনতে হল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে আমেরিকার (US) ভূমিকা কী। সোমবার বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিকে ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri)। পহেলগাম হামলা (Pahalgam Terror Attack) থেকে শুরু করে দুই দেশের যুদ্ধ বিরতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। সূত্রের খবর, তাতে বিদেশ সচিব জানান, প্রথাগত সামরিক পদক্ষেপ হয়েছে। পাকিস্তানের থেকে পরমাণু বিষয়ে কোনও সংকেত আসেনি। শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটির সামনে এদিন বিশদ জানান বিদেশ সচিব। ওই কমিটিতে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের রাজীব শুক্লা, দীপেন্দর হুডা, এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি, অরুণ গোভিল।
বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতিতে আমেরিকার ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তাতে বিদেশ সচিব জানান, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতেই এটা হয়েছে। পাকিস্তান ওই উত্তেজনার সময় চীনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছিল কি না সে বিষয়ও বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়। সে বিষয় অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে জোরালোভাবে চীনের সহযোগিতার বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। বৈঠক সূত্রে এই খবর জানা গেলেও এই নিয়ে এদিন বিদেশ মন্ত্রকের কোনও বিবৃতি পাওয়া য়ায়নি।
আরও পড়ুন: উদ্বাস্তুদের আশ্রয়দান অসম্ভব, ভারত ধর্মশালা নয়: সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি হামলা হয়। অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এরপর দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। চার দিনের উত্তেজনার শেষে গত ১০ মে পাকিস্তানের আর্জিতে ভারত যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়। সেদিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই ওই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করে। পরেও তিনি দাবি করেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের যুদ্ধ তিনি থামিয়ে দিয়েছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানে না। এটাই নীতি। ফলে আমেরিকা কী করে মধ্যস্থতা করল? ভারত অবশ্য জানিয়ে দেয় দ্বিপাক্ষিক কথাতেই এই বিরতি হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: