কলকাতা: বিজেপির এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) প্রস্তাবের বিরোধিতায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, এই প্রস্তাবের সঙ্গে তিনি একমত নন। এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় কেন্দ্রের তৈরি করা কমিটির চেয়ারম্যান নীতেন চন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রের এই প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এক দেশ, এক ভোট-এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে একাধিক বিরোধী দল৷ সে তালিকায় জুড়ল তৃণমূলের নামও৷ এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোবিন্দ কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে এই প্রস্তাব নিয়ে জনমত নেওয়ার কথা বলেছে।
আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে টাকা চুরি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ শাহজাহানের পরিবারের
২০১৪ সালে দেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপি এক দেশ, এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। কেন্দ্রের শাসকদলের যুক্তি, সারা দেশে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট হলে খরচ অনেক কমবে। পরবর্তীকালে পুরসভার মতো সংস্থার ভোটও একসঙ্গে করার ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এক দেশ, এক ভোটের প্রস্তাব গণতন্ত্র ও সংবিধানের পরিপন্থী। এই প্রস্তাব গোটা দেশে চালু করা মানে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা। মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, এক দেশ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে। এ দেশের অর্থ আমরা বুঝি সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক কিংবা ঐতিহাসিক পটভূমি। কিন্তু ভারতের সংবিধানের শর্ত অনুযায়ী এক অর্থ আমাদের বোধগম্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন হয়। একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করতে হলে সেসব রাজ্যের সরকারের মেয়াদ তড়িঘড়ি কমে যাবে। পাঁচ বছরের জন্য যে সরকার নির্বাচিত হল, তার মেয়াদ শেষের আগে সরকার ভেঙে নতুন করে ভোট করতে হবে। আবার যদি কেন্দ্রের সরকার পড়ে যায়, তা হলে তার প্রভাব রাজ্যগুলির উপর পড়বে। যা যুক্তিযুক্ত নয়। এক দেশে এক ভোট এই নীতি চালু হলে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়া সমান। তাই কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি আমরা।
আরও অন্য খবর দেখুন