ওয়েবডেস্ক- পহেলগাম (Pahalgam) সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেও পাকিস্তানকে (Pakistan) উচিত শিক্ষা নিতে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত (India)। এর মধ্যে অন্যতম সিন্ধু চুক্তি স্থগিত (Indus Treaty suspended) । পাকিস্তান সিন্ধু চুক্তি নিয়ে ভারতের কাছে পুনর্বিবেচনার দাবি জানালেও ভারতের কড়া জবাব, জল পেতে গেলে মানতে হবে শর্ত। যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করছে, ততক্ষণ ভারত সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বন্ধ রাখবে।
এবার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত। চন্দ্রভাগা নদীর (Chandrabhaga River) সঙ্গে যুক্ত রণবীর খালের (Ranbir Khanal) দৈর্ঘ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ভারত। সেই খালের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হতে পারে ১২০ কিলোমিটার। চন্দ্রভাগা নদীতে থেকে জলবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে ভারতের।
এক সরকারি আধিকারিক সূত্রে খবর, এই খালের দৈর্ঘ্য ও গভীরতা বাড়ানো হলে চন্দ্রভাগা নদীর জল আরও বেশি করে ব্যবহার করতে পারবে ভারত।
আরও পড়ুন- সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে কী ভাবছে ভারত, পাকিস্তানকে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জলবন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই জলবন্টন চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল, সিন্ধুর জল কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু এবং তার দুই উপনদী বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগার বেশিরভাগ জল ব্যবহার করে পাকিস্তান। তবে চন্দ্রভাগা নদীর নির্দিষ্ট পরিমাণ জল সেচের জন্য ব্যবহার করতে পারে ভারত।
চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদীর তিনটি উপনদী – সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং ঝিলাম,এর জল পাকিস্তানের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। অন্যদিকে, বিয়াস, রাভি এবং শতদ্রু – এই তিনটি নদীর জল ভারতের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ভারত এই তিনটি নদীর জল সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অন্যান্য ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে পারে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তান যে সমস্ত নদীর জল বেশি ব্যবহার করে, সেখান থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় বিদ্যুতে চাহিদা অনেকটাই মিটবে। তবে খালের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি বেশ সময় সাপেক্ষ্য বিষয়। দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে সিন্দু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি খালের গভীরতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাম আবহে নতুন করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
দেখুন ভিডিও-