বীরভূম: কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) মারধরের অভিযোগ উঠল। সিউড়িতে (Suri) আক্রান্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে কর্তব্যরত ট্রাফিকের সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গত দুদিন আগে হেলমেট না পরার কারণে ওই শিক্ষককে (Teacher) ফাইন করে কর্তব্যরত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। শুক্রবার সিউড়ি বাস স্ট্যান্ড চত্বরে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে পরবর্তী ক্ষেত্রে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
প্রায়শই রাজ্যের একাধিক জেলায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) মানবিক মুখ ধরা পরে। সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে সাহায্যের হাত বারিয়ে দেন তারা। তবে এবার এক কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বেধড়ক মারধরের ছবি ধরা পড়ল সিউড়িতে। জানা গিয়েছে, গত দুদিন আগে হেলমেট (Without Helmet) না পরার কারণে ওই শিক্ষককে ফাইন করে কর্তব্যরত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। ওই এই বিষয়টা ঠিক ভাল ভাবে নেননি ওই বাইক আরোহী। আজ শুক্রবার শিক্ষক হেমন্ত মণ্ডল সিউড়ি (Suri) বাসস্ট্যান্ডে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখতে পেয়েই তার ওপর চড়াও হন। তাকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই ঘটনাস্থলে পথ যাত্রীদের ভিড় জমতে শুরু করে। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষক হেমন্ত মন্ডলকে গ্রেফতার করেন।
আরও পড়ুন: বীরভূমে তুলে দেওয়া হল জেলা সভাপতি পদ, অনুব্রত-কাজলকে কী বার্তা দলের?
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক হেমন্ত মণ্ডল কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতন স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক। নিয়মিত স্কুলে যাতায়াতের জন্য তাই প্রয়োজন হয় বাইকের। আজ শুক্রবার সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে থাকাকালীন স্কুল যাওয়ার সময় তাঁকে দেখে রেগে যায় ওই শিক্ষক। তারপরেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। তার দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করেন কি কারণে তাঁর ছবি তোলা হয়েছিল। আজ অবশ্য তার মাথায় হেলমেট দেখা গিয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। অভিযোগ, হটাতই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর রেরে করে তেড়ে যান হেমন্তবাবু। এমনকি চুলের মুঠি ধরে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাসস্ট্যান্ডে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। সিউড়ির ডিএসপি-ট্র্যাফিক কুণাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কর্তব্যরত ভলান্টিয়ারের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের নামে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এমনকি তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও হেমন্তবাবুর আচরণে অসন্তুষ্ট। কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা সাহার কথায়, ‘স্কুলেও একবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করতে গিয়েছিলেন। প্রায় স্কুলে আসেন না, তবুও জোর করে হাজিরা খাতায় সই করেন।’ ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ।
দেখুন আরও খবর: