ওয়েব ডেস্ক: শরীর অসুস্থ হলে ছোট থেকে বড় সবাইকেই ওষুধের উপর নির্ভর করতে হয়। এদিকে সাধারণ মানুষের জীবনের তোয়াক্কা না করেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সমস্ত জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মেতে ওঠেন। প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসে জাল ওষুধ (Fake Medicine) তৈরির কারবার। তালিকায় নাম থাকে রাজ্যের একাধিক জেলার। তারপরে পুলিশের তৎপরতায় চলে জাল ওষুধ চক্রের (Fake medicine racket) সঙ্গে জড়িত মাথাদের খোঁজ। এরপর একে একে দেখা যায় তল্লাশি ও ধরপাকড়।
আর এবার সেই একই ছবি উঠে এল পূর্ব বর্ধমান জেলায় (East Badhaman District)। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিকদের তরফে সেই জেলার বেশ কয়েকটি দোকানে ইতিমধ্যেই জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জাল ওষুধের কারবার রুখতে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের (State Drug Control) পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারির ছবি ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন:তৃণমূলে যোগ বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লার
একাধিক ওষুধের দোকানের মালিকরা অনুমান করছেন, বহু সাধারণ মানুষের এই কিউআর কোড (QR Code) সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের পক্ষে আসল ও নকল ওষুধের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব নয়। সাধারণত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে এসে নিজেদের দোকানে বিক্রি করেন তাঁরা। ফলে কোন ওষুধটা জাল তা তাঁদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব নয়। জাল ওষুধ তৈরির কারবারে ইতি টানতে যে জায়গাগুলি থেকে ওষুধ প্রস্তুত ও সরবরাহ করা হচ্ছে সেই জায়গায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
শুধু তাই নয়, ওষুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যারা নিয়মিত ব্যবসা শুরু করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছেন তাঁরা। কারণ জীবনদায়ী ওষুধের এই জাল কারবার বাড়তে বাড়তে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। সুস্থতার বদলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে এইসব ওষুধ। অধিকাংশ রোগী বর্তমান পরিস্থিতিতে এইসব ওষুধ খেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল-এর তরফে বড়বাজারের বেশ কিছু দোকানে হানা দেওয়া হয়। সেইসময় জাল ও নিম্নমানের ওষুধ হাতে পায় তারা। তৎক্ষণাৎ সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দেখুন আরও খবর: