ওয়েবডেস্ক: লক্ষ্মী পুরীর (Lakshmi Puri) মানহানি করায় সংবাদমাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সাকেত গোখলেকে (Saket Gokhale) নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল লক্ষ্মী পুরীর মানহানি করায় সংবাদমাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ গোখলেকে। মুখবন্ধ খামে ক্ষমা প্রার্থনা পেশ করার আর্জি খারিজ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ।
২০২৪ সালের ১ জুলাই আদালত তাঁকে যে নির্দেশ দেয়, সেই মতো তিনি এখনও কোনও পদক্ষেপ করেননি। এমনকি সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চতর আদালতের কোন রায়ও পাননি। এই অবস্থায় সমাজের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁকে জারি হওয়া নির্দেশ পালন করতেই হবে। মন্তব্য আদালতের।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর সফরে রাজনাথ
উল্লেখ্য, এই আদালত সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে গোখলেকে ক্ষমা প্রার্থনা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে টুইটারেও সেই ক্ষমা প্রার্থনা প্রকাশ করতে বলা হয়। যা ছয় মাস পর্যন্ত সবাই যাতে দেখতে পায়। সেই সঙ্গে লক্ষ্মী পুরীকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা হিসেবে গোখলেকে দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মী পুরী সুইজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন এবং তিনি ও তাঁর স্বামী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ পুরীর সম্পত্তি সম্পর্কেও টুইটারে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছিলেন গোখলে। সেই সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা তদন্তের দাবি করেন। কিন্তু সেই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
২০২১ সালে লক্ষ্মী পুরী সাকেত গোখলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। যখন সাকেত সুইৎজারল্যান্ডে তার সম্পত্তি ক্রয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেন। দিল্লি হাইকোর্ট গোখলের ট্যুইটগুলিকে মানহানিকর বলে মনে করে।
দেখুন আরও খবর-