কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার কলকাতায় এলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ডিরেক্টর (ED Director) রাহুল নবীন। ইডি সূত্রে খবর, সোমবার মধ্যরাতে কলকাতা এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ইডির পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানে নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের খোঁজে নতুন একাধিক সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করে ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আধিকারিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর জখম হন তিন ইডি আধিকারিক। এই ঘটনার পরেই ন্যাজাট থানায় শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ইডি। পাল্টা ইডির বিরুদ্ধে বিনা ওয়ারেন্ট ও নোটিশে বাড়িতে ঢুকে হেনস্থার অভিযোগ করে শাহজাহানের পরিবার। বসিরহাট জেলা পুলিশ একটি সুয়ো মোটো মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। শুক্রবারের সন্দেশখালি কাণ্ডে এখনও পৰ্যন্ত মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। সন্দেশখালির পাশাপাশি বনগাঁতে প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য (Shankar Adhya) বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে ইডির উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দু’টি ঘটনাতেই ইডি রাজ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এর মধ্যে বনগাঁর ঘটনায় ইডির দাবি, পুলিশ সুপারকে আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও তিনি বাহিনী পাঠাননি।
আরও পড়ুন: পুরনো খুনের মামলায় শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে মামলা শুভেন্দুর
শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (Sk Shahjahan) কোনও খোঁজ মেলেনি। ইডি আধিকারিকদের একাংশের মতে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন ওই তৃণমূল নেতা। এ জন্য তাঁর খোঁজে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। অন্যদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ খুলেছেন রাজ্য পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার। সোমবার তিনি বলেছেন, যাঁরা যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিনতম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও খবর দেখুন