ওয়েবডেস্ক: বিরাট কেরিয়ার। এক যুগ ভারতীয় ক্রিকেটকে শাসন। আসলে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন। রেকর্ড যেন মাইলফলক। ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণ থেকে চিরকালের জন্য প্যাভিলিয়নের পথে। পিছনে পড়ে থাকল বাইশ গজ। ক্রিকেট মাঠের সবুজ ঘাস। যেগুলি তঁর আক্রমণাত্মক মেজাজের সঙ্গী। যাঁর ব্যাট থেকে বাউন্ডারি বেরোলে স্টেডিয়াম কিং কোহলির নামে গর্জন করে উঠত স্টেডিয়াম। আর নয়। এখানেই ইতি। সৌজন্যে সোমবার ইনস্টাগ্রামে একটি বিদায় বার্তা। ১৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেটে সমাপ্তি বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেটকে যখন বিদায় জানিয়েছিলেন তাঁর সেই আবেগঘন বিদায় ভাষণ- আপামর ক্রিকেট প্রেমীদের চোখে জল এনে দিয়েছিল। কোহলি সে পথে যাননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ দিয়েছেন। তাতেই ঝড়। এমনকী ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতির উত্তেজনার আবহে খোদ সেনা আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। হ্যাঁ কোহলির জন্য। আসলে বিরাট তো ভারতের ব্রহ্মস ক্রুজ। মিসাইল। রাফাল। এস৪০০। বিরাট অস্ত্রে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছে ভারত। লাল বলের ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না বিরাটকে। তবে অমর হয়ে থাকবে তাঁর রূপকথায় সাজানো ইনিংসগুলো। আর ক্রিকেট ভক্তদের মনে গাঁথা থাকবে কিং কোহলির রাজকীয় মেজাজ। অভিনেত্রী অনুষ্কাকে নিয়ে হইচই। কী প্রতিক্রিয়া তাঁর? সীমান্ত যুদ্ধ পরিস্থিতির এই সময় বিরাট কি স্ত্রী অনুষ্কাকে বলেছেন, প্রিয়তমাসু আজ সীমান্তের প্রহরী আমি। এবার যুদ্ধ তোমার আর আমার জন্য।
অপারেশন সিঁদুরের সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের সেনা আধিকারিকের মুখে বিরাট কোহলির নাম। লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। যিনি ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে ‘ফিল্ডে’ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ও তাঁর পাক প্রতিপক্ষ। সোমবার দিল্লিতে আচমকা সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মুখে বিরাট কোহলির নাম। সেনা আধিকারিক জানান, তিনি শুনেছেন বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার।
২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বিরাটের। ৩৬ বছরের বিরাট ১২৩ টেস্টে ৩০টি সেঞ্চুরি করেছেন। ৬৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার মধ্যে ৪০টিতে জয় পেয়েছেন। টেস্টে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। এদিন সেনা কর্তার মুখে সত্তরের দশকের অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ সিরিজের কথাও উঠে আসে। সেসময় কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার জেফ থম্পসন ও ডেনিস লিলি ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করত সেকথা তুলে ধরেন তিনি। ‘প্রোভার্ব’ ব্যবহার করে পাকিস্তানকে ঠান্ডা বার্তা দেন।