নয়াদিল্লি: ‘অপারেশন সিঁদুরের’ (Operation Sindoor) পর সোমবার প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন রাত ৮টায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দেশবাসীর কৌতূহল তুঙ্গে কী নিয়ে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী? অনেকেই মনে করছেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বড়সড় কোনও পদক্ষেপের ঘোষণাও করতে পারেন মোদি। এদিনই বিকেলে ভারত পাকিস্তান দু দেশের DGMO বৈঠকে বসতে চলেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে এই বৈঠকে, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা জানতে চাইতে পারে ভারত। ভারত সন্ত্রাসবিরোধী অপারেশন চালিয়ে যাবে, তাও স্পষ্ট করা হবে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে। ২৬ ভারতীয়দের রক্তে ভিজেছিল ভূস্বর্গ। এরপরই বিহারে ভোটপ্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন,সন্ত্রাস নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি ভারতের। কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়া হবে। জঙ্গিদের কোমর ভেঙে দেবেন। মাটিতে মিশিয়ে দেবেন। পহেলগাম হামলার পরে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পাকিস্তানের জঙ্গিদের ৯ টা ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল ভারত। এরপরই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত সব হামলা প্রতিহত করেছে। পাকিস্তানের সব হামলার কড়া জবাব দিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে শতাধিক জঙ্গির। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মহম্মদের একটি জঙ্গি শিবির উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিরা নিহত হয়েছে। এখনও শেষ হয়নি অপারেশন সিঁদুর। এরমধ্য শনিবার ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করেছিল। যদিও বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তান (Pakistan) নির্লজ্জের মতো চুক্তিভঙ্গ করে ভারতে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: আত্মবিশ্বাসী সেনাপ্রধানদের সাংবাদিক বৈঠকে কীসের ইঙ্গিত?
এই ঘটনার পর সেনাকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেছেন, পাকিস্তান গুলি চালালে, গোলা চালাবে ভারত, সেনাকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। এই হামলার পর ভারত গোটা বিশ্বকে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্ন যখন তখন ঝুঁকে গা নেহি। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে দেশের মাটিতে কোনও রকমের জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। তা যুদ্ধের সমান হিসাবে গণ্য করা হবে। এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী জাতীর উদ্দেশে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দেখুন ভিডিও