ওয়েব ডেস্ক: বছর দুয়েক আগেই দীর্ঘ আইনি লড়াই এর মধ্যে দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়েছে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আম্বার হার্ড(Hollywood actress Amber Heard) এবং খ্যাতনামা অভিনেতা জনি ডেপের(Johnny Depp)। তাদের দীর্ঘ আইনি লড়াই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল।
এবার খুশির সংবাদ দিলেন অ্যাম্বার হার্ড, তিনি যমজ সন্তানের মা হলেন(Birth of twins)। এক পুত্র এবং কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন এই খবর প্রকাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মেম্বার নবজাতকের ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের সুখবর দিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘দা ওয়ার্ড’ তারকা আম্বার হার্ড এবং ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান'(Pirates of the Caribbean) খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপের পারস্পরিক অভিযোগের ভিত্তিতে বহু বছর আইনি লড়াই চলার পর ২০২২ সালে
তাদের সমস্যার সমাধান হয় বিবাহবিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে।
গতকাল ছিল মাতৃদিবস(Mother’s Day) আর সেদিনই যমজ সন্তানের নতুন মা হওয়ার খবর জানালেন ৩৯ বছরের এমবার হার্ড লিখেছেন। মেয়ের নাম রেখেছেন ‘অ্যাগনেস’ এবং ছেলের নাম ‘ওশান’। instagram এ জমজ সন্তানের পায়ের দুটি ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন সম্প্রতি তিনি যমজ সন্তানদের স্বাগত জানিয়েছেন। অ্যাম্বার আরও লেখেন, ২০২৫ সালের মাতৃদিবস আমি কখনোই ভুলবো না। বছরের পর বছর ধরে যে আমরা একটি পরিবার গড়ে তোলার চেষ্টা করছি এ বছর তার পূর্ণতা উদযাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত। আনুষ্ঠানিকভাবে আমি খবরটি শেয়ার করতে পেরে যথেষ্ট উত্তেজিত।
সারোগেসির মাধ্যমে প্রথম সন্তানের মা হন অ্যাম্বার। ২০২১ সালে জন্ম নেয় কন্যা উন। তার বয়স এখন ৪ বছর। গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয়বার মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন অ্যাম্বার।
যদিও হার্ড তার যমজ সন্তানের বাবার নাম প্রকাশ করেননি, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তাদের স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও এলন মাস্কের সাথে যুক্ত করছেন।
অ্যাম্বার হার্ডের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের পরপরই, ইলন মাস্ক এবং অ্যাম্বার হার্ডের মধ্যে সম্পর্কের সময় তৈরি হিমায়িত ভ্রূণ নিয়ে আইনি বিরোধের খবর ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়।
অ্যাম্বার হার্ড একাধিক প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। ২০১৫ সালে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তারকা জনি ডেপের সঙ্গে। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে এক কলামে নিজেকে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে তুলে ধরেন অ্যাম্বার হার্ড।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন ডেপ। আর ১০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন হার্ড। এ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি কম হয়নি। ২০২২ সালে এসব জটিলতার অবসান ঘটে।