ওয়েব ডেস্ক: ‘সনম তেরি কসম'(Sanam Teri Kasam) ছবির পাক নায়িকা মাওরা হোকেনের(Pak actress Mawra Hocane) সঙ্গে ভবিষ্যতে আর কোন কাজ করতে চান না বলে ছবির নায়ক হর্ষবর্ধন রানে(Harshvardhan Rane) জানিয়েছেন। কিন্তু কেন হর্ষবর্ধন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত জানালেন! ভারতীয় অভিনেতার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন সংশ্লিষ্ট ছবির পরিচালক রাধিকা রাও(Radhika Rao) এবং বিনয় সাপ্রু(Vinoy Saproo)। ‘সনম তেরি কসম’ ছবিটি ২০১৬ সালে মুক্তি পেলেও এটি পুনরায় মুক্তি পেয়েছিল চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে।
আরও পড়ুন:ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বিতর্কে সলমন!
প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার প্রভাব এসে পড়েছে বিনোদন জগতেও। পরিস্থিতি বিচার করে বলাই যেতে পারে যে পাকিস্তানের শিল্পীদের ভবিষ্যতে বলিউডে কাজ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাছাড়াও বেশ কিছু পাকিস্তানের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য ব্যাপারটি কারো জটিল করে তুলেছে।
পাকিস্তান অভিনেত্রী ‘অপারেশন সিঁদুর'(Operation Sindoor) চলাকালীন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লিখেছেন,’পাকিস্তানের উপর ভারতের কাপুরুষিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি…. নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণ হারিয়েছেন… আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করুন…. বিবেকের জয় হোক.. ইয়া আল্লাহু ইয়া হাফিজো।’
মাওরা-র পোস্ট রি পোস্ট করেছেন ‘সনম তেরি কসম’ তারকা হর্ষবর্ধন রানে। সঙ্গে লিখেছেন,’আজ যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে আমাদের দেশের সম্পর্কে করা কিছু মন্তব্য করার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ‘সনম তেরি কসম পার্ট ২’ যদি তৈরি হয় তাহলে আমি পূর্ববর্তী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এই ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি’।
হর্ষবর্ধনের এই সিদ্ধান্তকে ছবির দুই পরিচালক শুধু তার পাশে থাকেন নি, বহু মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।
ছবির পরিচালক রাধিকা এবং বিনয় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিগত কয়েক দশক ধরে ভারত-পাক সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের কারণে নিরীহ ভারতীয়দের জীবন হানি হচ্ছে। হতাশার বিষয় হল ভারতের যে সমস্ত পাক অভিনেতা অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন তাদের এই পরিস্থিতিতে বিরুপ মতামত প্রকাশ করা।
পাকিস্তানি অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভারতে কাজ করার বিষয় নিয়ে পরিচালকদ্বয় বলেছেন, ‘আমরা ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। ভারতীয় কোনও প্লাটফর্মের তরফ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত নয়। এক টাকাও বেতন দেওয়া উচিত নয়। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের জাতি এবং জনগণের কল্যাণ, আমরা সব সময় সরকারের পাশে আছি এবং সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।’