ওয়েবডেস্ক- আজ রবিবার ভারতীয় সেনার তিন বিভাগের পক্ষ থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানেই সেনার তরফে জানানো হয়, গত ৯ ও ১০ মে কি হয়েছিল।
৯ মে ছিল শুক্রবার। দিনভর সাময়িক উত্তেজনা থাকলেও রাত ৮ টার দিকে সেটি বাড়তে থাকে। জম্মু সীমান্তে গোলাগুলি শুরু করে পাক সেনা। পঞ্জাবের ফিরোজপুরে উড়ে আসা ড্রোনের আঘাতে ঝলসে যান তিন ভারতীয়। তারা তিন জন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। দুজন সামান্য জখম হয়, এক মহিলার আঘাত গুরুতর। পাকিস্তান অভিযোগ আনে ভারতের এই হামলা অনর্থক। হামলায় ১১ জন পাক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুও ছিল। ভারতের আক্রমণের ৫০ জনের বেশি ঘায়েল হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের বাড়মেরের আকাশে ড্রোন, ফের সংঘর্ষ বিরতি পাকিস্তানের…কী করবে ভারত?
ড্রোন হামলার মাঝে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল জঙ্গিরা, তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ করে বিএসএফ।
এদিকে পাকিস্তান ড্রোন হামলা চালাতে থাকে। কাশ্মীরের বারমুল্লা থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ২৬ টি জায়গায় ড্রোন অ্যাটাক করে পাকিস্তান। নিশানা করা হয়েছিল ১৪ টি। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু, বারামুলা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, পঞ্জাবের ফিরোজপুর, পঠানকোট, ফাজিলকা এবং রাজস্থানের লালগড় জাটান, জৈসলমের, বাড়মের, গুজরাতের ভুজ, কারবেট ও লাখিনালা। কিন্তু গোটা অংশ ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয়েছিল। অমৃতসরের মন্দির ও ব্ল্যাক আউট ছিল। বিএসএফ শিয়ালকোটের লুনিতে জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাড উড়িয়ে দেয়।
অপরদিকে ১০ মে ভোর থেকেই হামলা শুরু করে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পাক সেনা এই অভিযানের নাম দেয় ‘বুনিয়ান-আন-মারসুস’। পাক হামলায় রাজৌরিতে সরকারি আধিকারিক সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। জম্মু শম্ভু মন্দিরকে টার্গেট করে পাক সেনা। আরএস পুরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিএসএফের সাব-ইনস্পেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজের মৃত্যু হয়।
শনিবার ভোরে পাক গোলা পড়ে রাজৌরীর অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার (এডিডিসি) রাজকুমার থাপার বাড়িতে। আহত হন পরে মারা যান তিনি। জম্মুর কাছে রাইপুরের একটি বাড়িতেও পাকিস্তানের গোলার আঘাতে জাকির হুসেন নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী বিগত কয়েকদিনে জম্মু কাশ্মীরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেখুন ভিডিও-