ওয়েবডেস্ক- চীন ও পাকিস্তান (China Pakistan Friednship) নিজেদের ‘অল ওয়েদার ফ্রেন্ড’ বলে বর্ণনা করে থাকে, অর্থাৎ পাকিস্তানের ভালো মন্দ সব কিছুতেই চীনকে তারা পাশে পাবে। এই দুই দেশের মধ্যে সেই আস্থা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। সামরিক ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীলতা চীন।
কাশ্মীরের পহেলগাম কাণ্ডের আবহে ভারতের প্রত্যাঘাত। তার পর আজ দুই দেশের সম্মতিতেই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা। ১২ মে, অর্থাৎ সোমবার বেলার ১২ টার দিকে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভেঙে হামলা শুরু করে দিল পাকিস্তান।
এদিকে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার (Ceasefire violation Pakistan) পর পরই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের ( National Security Advisor Ajit Doval) সঙ্গে কথোপকথন হয় চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র (Chinese Foreign Minister Wang Yi) । সেখানে চীনের বিদেশমন্ত্রী দোভালের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারত যুদ্ধ বিরোধী। পহেলগামে যে কাণ্ড ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারত বাধ্য হয়েই এই প্রত্যাঘাত এনেছে। তারা এই যুদ্ধের পথ বেছে নেয়নি। কারণ যুদ্ধ কারওর সহায় নয়। ভারত এবং পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে এবং যত দ্রুত সম্ভব আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন- যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন… একাধিক জায়গায় গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের, কড়া জবাব দিচ্ছে ভারত
ওয়াং জানান, পহেলগাম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। চীন সমস্ত রকম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কারণ এই আবহ চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক মহলে এক বিরূপ বার্তা তৈরি হবে। ওয়াং জানিয়ে দেন, ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের প্রতিবেশী। তাই পরস্পরকে দূরে সরানো সম্ভব নয়।
তারা চীনেরও প্রতিবেশী। ভারতের যুদ্ধ বিরোধী মনোভাবের প্রশংসা করেছে চীন। ডোভালের সঙ্গে কথা বলার আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে কথাপকথোন করেন ওয়াং।
পাকিস্তানের তরফে সেই নিয়ে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং চীন পরস্পরের সর্বক্ষণের সঙ্গী। দুই দেশের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় আগামী চীন তাদের পাশে থাকবে।
দেখুন ভিডিও-