ওয়েবডেস্ক: ভারত পাক উত্তেজনা (India Pakistan Conflict)) কোনও নতুন ঘটনা নয়। পাকিস্তান বরাবরই ভারতের বিরোধিতা করে এসেছে। আর বিরোধিতা করতে গিয়ে চীনের (China) উপর ভরসা করে বড় বড় বুলি আওড়ে গেছে পাকিস্তান। এদিকে ঋণের চাপে ক্রমশই জর্জরিত হতে শুরু করেছে এই শাহবাজ শরিফের সরকার (Shahbaz Sharif’s government) । এবার দেউলিয়া হওয়ার পথে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে কাশ্মীরের মালিকানা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে তারা। এবারও পেহেলগাম হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
কাশ্মীরে পহেলগাম (Kashmir ) হামলার পরেও ভারত রয়ে সয়ে সংযম দেখিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু পাক সরকারকে তা করতে দেখা যায়নি। উল্টে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলি চালিয়ে গেছে। এই মুহূর্তে দুই দেশই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি হয়েছে। আজ বিকেল ৫ টা থেকে সেটি শুরু হয়েছে। টানা ৪৩ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতি থাকবে। ১২ মে বেলা ১২ টা পর্যন্ত এই যুদ্ধ বিরতি বলে জানানো হয়েছে।
কিন্তু বাইরে যুদ্ধ মেটালেও নিজের ঘর সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পাক সরকার। মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে বালোচ বিদ্রোহ। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির একটাই কথা পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা। নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করে পৃথক আলাদা দেশের স্বীকৃতি। ভারতেও দূতবাস খুলতে চেয়েছে তারা। একাধিকবার পাকসেনার কনভয়ে হামলা করছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি, BLA।
আরও পড়ুন: ভারত পাক সংঘর্ষের আবহে বিরাট দাবি ট্রাম্পের
বালোচ আমেরিকান কংগ্রেসের (বিএসি) সভাপতি তারা চাঁদ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে পাকিস্তান থেকে বিচ্যুত হয়ে বাংলাদেশ হয়েছিল, একইভাবে এবার পাকিস্তান থেকে বিচ্যুত হয়ে বালুচিস্তান তৈরি হবে। সেইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ‘অপারেশন সিঁন্দুর’-এর প্রশংসা করেছেন।
তার মধ্যেই ঋণের বোঝায় জর্জরিত পাক সরকার। তলানিতে (Pakistan Economy) অর্থনীতি। এবার দ্রুত ফাঁকা হচ্ছে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার। দ্রুত দেউলিয়া হওয়ার পথে পাকিস্তান। সেই অবস্থায় ঘৃতাহুতির মতো কাজ করেছে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসারণের ঘটনা। পঙ্গু অর্থনীতি নিয়েই আস্ফালন চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তারা যে আয় করেছিল তাও খরচ হয়ে যাচ্ছে।
দেখুন ভিডিও-