ওয়েব ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে সংঘর্ষ বিরতি (Ceasefire)। সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের কোনও পরিবর্তন হবে না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানেরও কোনও পরিবর্তন হবে না। সূত্র মারফৎ এরকমই খবর পাওয়া গিয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। পাকিস্তান আর্জি জানিয়েছিল এই যুদ্ধবিরতির জন্য। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিঃশর্ত পদক্ষেপ অটুট। যার পরিবর্তন হবে না।
শনিবার বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। তবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মিসাইল ও ড্রোন হানা রুখেছে। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বড় ক্ষতি করেছে। ভবিষ্যতে কোনও রকম প্ররোচনা এলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। সেনার তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের একাধিক সামরিক কাঠামোর বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাক বিমানঘাঁটিগুলিও ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা। ভারতের তরফে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সেনাবাহিনী। বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ভারতীয় সেনার তিন আধিকারিক সোফিয়া কুরেশি, রঘু নায়ার এবং ব্যোমিকা সিংহ। ভারত জানায়, আগে থেকে নিশানা স্থির করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। ভারত সর্বদা পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতিকে যৎসামান্য রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: শনিবার আট পাক সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত ভারতের
প্রসঙ্গত, পহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পাক মদতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একযোগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫টি ঘোষণা করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু জল চুক্তি সাসপেন্ড করা। তার মানে পাকিস্তান জল পাবে না। তা না পেলে চরম সমস্যায় পড়বে। যার পরে পাকিস্তান দিশেহারা হয়ে যায়। পাক সরকারের মন্ত্রীর একের পর এক উত্তেজক মন্তব্য করছিলেন। তার পরে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া হয়।
দেখুন অন্য খবর: