ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) পহেলগামে (Pahalgam) বর্বরোচিত হানার দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গর্জে উঠেছে গোটা বিশ্ব। দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Naredra Modi) কড়া হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে নিমূর্ল করাই ভারতের উদ্দেশ্য। এর পরেই ৭ মে ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ অভিযান চালায় ভারত।
ভারতের আকাশসীমা থেকে বায়ুসেনার দুর্ধর্ষ অভিযান চালিয়া পাক সীমানার ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গি (Militant) নেতার পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: বাড়ছে পাক আগ্রাসন, কী পদক্ষেপ নেবে ভারত? বৈঠকে রাজনাথ সিং-অজিত দোভাল
ভারতের প্রকাশিত তালিকায় নাম আছে, আবু জিন্দাল, মহম্মদ জামিল, ইউসুফ আজহার, আবু আকশা এবং মুহাম্মদ হাসান খান। ইউসুফ আজহার কান্ধাহার কাণ্ডের অন্যতম চক্রী। মাসুদ আজহারের ভগ্নিপতি হল এই মহম্মদ জামিল। জইশের প্রথম সারির নেতা ছিল সে। মুরদিকে জঙ্গি ক্যাম্পে ভারতীয় অভিযানে নিকেশ হয়েছে এই পাঁচ প্রথম সারির জঙ্গি। এখানে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল এই সব জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত করেছিল পাকিস্তান সরকার। যেখানে উপস্থিত ছিল সেনা, পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
অপারেশন সিঁন্দুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারতের সেনা লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মুহাম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর এবং প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তানের শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান ঘাঁটি মেহমুনা জোয়া এবং পহেলগাম কাণ্ডের অন্যতম চক্রী আদিল আহমেদ ঠোকরের বাড়িও ধ্বংস করা হয়েছে। এই অভিযানের পাকিস্তানের মধ্যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপকে নিশ্চিহ্ন করতে ভারতের এই অভিযান একটি বড় বার্তা দিয়েছে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে।
দেখুন আরও খবর-