ওয়েবডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল ছিল এক অভিশপ্ত দিন। ২৫ জন পর্যটক সহ এক কাশ্মীরি যুবককে হত্যার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। ক্রোধের আগুনে জ্বলতে থাকে ভারত। এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয় লস্কর ই তৈইবার জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) ।
এর পরেই ভারত সরকারের তরফ থেকে জোরালো হুমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনই মেনে নেবে না ভারত। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। ‘অপারেশন সিঁন্দুর’এয়ার স্ট্রাইকের মধ্যে দিয়ে ৭ মে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়েছে ভারত।
পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ৯ টি জায়গায় আঘাত এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি। প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করাই লক্ষ্য ভারতের। পাক সেনার কোনও অবকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। পাশাপাশি পাকিস্তান নাগরিকের ওপরেও কোনও আঘাত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পাক পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির সঙ্গে এবার বৈঠক শেহবাজ শরিফের
ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, পহেলগামে (Pahalgam) জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। গোটা বিশ্বই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের ভারতের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে। এবার পহেলগাম কাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানালো জি-৭ সদস্য দেশগুলি। সেই সঙ্গে ভারত ও পাক উত্তেজনা প্রশমনের আবেদন জানিয়েছে তারা।
জি-৭(G-7) এর সদস্য দেশগুলি এক বিবৃতিতে শনিবার জানিয়েছে, “আমরা, জি-৭ এর সদস্য দেশ ফ্রান্স, কানাডা, ইটালি, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদস্থ প্রতিনিধি, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করছি। একইসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানকে সর্বোচ্চ সংযম জানানোর আর্জি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁন্দুরের পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দীপ্ত কন্ঠে জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি শুধরে যায়, তাহলের ভারতের পক্ষ থেকে আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান থেকে তার নিজের কাণ্ডকারখানা থেকে পিছিয়ে আসিনি। উলটে ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান সেনা বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে চলেছে। এমনকি সাধারণ মানুষও সেই হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। মিসাইল থেকে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে ভারতের স্পষ্ট বার্তা, হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারত শুধু প্রত্যাঘাত করেছে।
জি-৭ এর সদস্য দেশগুলির বার্তা, ‘দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার তার প্রভাব পড়বে। দুই দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। শান্তি ফিরে আসুক।
পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে জি-৭ দেশগুলির আবেদন দ্রুত কূটনৈতিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধানের পথে আসুক ভারত পাকিস্তান।
দেখুন আরও খবর-