ওয়েব ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাক সীমান্ত। শ্রীনগর-সহ একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার কারণে। এর মধ্যেই ভারতের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। একের পর এক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলেও প্রতিটি আক্রমণই সফলভাবে প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের একাধিক শহরে, বিশেষ করে জম্মু, যোধপুর, চণ্ডীগড়ে জারি হয়েছে ব্ল্যাকআউট। সেনা সতর্কতায় উত্তাল এই আবহে আজ শুক্রবার জম্মুর উধমপুর থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত চালু হল একটি বিশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং চাপ কমাতে উধমপুর থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে উধমপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে এই স্পেশাল ট্রেনটি। মাঝপথে ট্রেনটি পাঁচটি স্টেশনে থামবে। উত্তর রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখেই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের ড্রোন দিয়ে হামলা পাকিস্তানের
রেলের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, ট্রেনটি প্রথমে দুপুর ২টোয় জম্মু-তাওয়াই স্টেশনে পৌঁছায় এবং ২.০৫ মিনিটে সেখান থেকে রওনা দিয়ে বিকেল ৩.৪৩ মিনিটে পাঠানকোট ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছে। এরপর ৩.৪৫-এ ছাড়ার পর জলন্ধরে পৌঁছায় ৫.০৩-এ। সেখান থেকে লুধিয়ানা ও আম্বালা হয়ে রাত ১০.১৫ নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় নয়াদিল্লি স্টেশনে। এই বিশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে ১৮টি এসি চেয়ার কার ও ২টি এক্সিকিউটিভ ক্লাস কামরা।
এদিকে শুক্রবার ভোরেই বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জম্মু অঞ্চলে। রাতের অন্ধকারেই জারি করা হয় ব্ল্যাকআউট। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। জম্মুর ডেপুটি কমিশনার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও যাত্রী পরিবহণের এই উদ্যোগে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অনেকে।
দেখুন আরও খবর: