মধ্যমগ্রাম: বড়দিন থেকে ইংরেজি নববর্ষের সময়টা বাঙালি ঘরে থাকে না। সাধ এবং সাধ্য অনুযায়ী কেউ যায় মন্দারমণি, কেউ শান্তিনিকেতন আবার কেউ দার্জিলিংয়ের পাহাড়। ব্যতিক্রম কি নেই? অবশ্যই আছে। সংখ্যায় অল্প হলেও ‘ক্রিয়েটিভ’ সত্তাকে লালন করার জন্য এ সময়টা বেছে নেন কেউ কেউ। যেমন ২৫ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়া ছৌ নৃত্য এবং কেরলের মার্শাল আর্ট কালারিপায়াট্টুর কর্মশালা আয়োজন করল ‘মধ্যমগ্রাম নৃত্যবিতান’। নৃত্য এবং নাটকের এই সংস্থার কর্ণধার সঞ্চয়িতা বসু সাহস দেখালেন এমন সময় এই কর্মশালা আয়োজনের।
আরও পড়ুন: ‘সালার’-এর পর নতুন বছরে বড় চমক প্রভাসের
নৃত্যবিতানের নিজস্ব স্পেস আকাশতলায় তিনদিন হই হই করে আয়োজিত হল এই কর্মশালা। পুরুলিয়ার নিজস্ব নাচের ফর্ম শেখাতে এসেছিলেন নামী ছৌ শিল্পী ধনঞ্জয় মাহাতো। কালারিপায়াট্টু শেখালেন সোমা গিরি। মধ্যমগ্রামে থেকেই রাজ্য এবং দেশের এই নৃত্য ও মার্শাল আর্ট ফর্মের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেল বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
অনবদ্য এই কর্মশালার উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন সংস্কৃতি জগতের একাধিক খ্যাতনামা মানুষ। গাছে জল দিয়ে উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত নাট্যকার প্রবীর গুহ। এছাড়াও ছিলেন নামী চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর জহর দাশগুপ্ত, ভাবনা থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক অভীক ভট্টাচার্য, সঙ্গীতশিল্পী প্রভাস দত্ত, নাট্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক প্রবীর দত্ত প্রমুখ। এছাড়া নৃত্যবিতানের সদস্যেরা তো ছিলেনই।