ওয়েবডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindur) অভিযান সফল হয়েছে। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সেনার ভূমিকা আরও একবার প্রমাণিত হল বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিকে অভিযানের পর থেকে দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি হয়েছে। বিমান বন্দর, রেলওয়ে স্টেশনগুলি উচ্চ সতর্কতা জোনে রয়েছে। পাঞ্জাব, কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় স্কুল বন্ধের (School Closed) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে ব্ল্যাক আউট।
গত ২২ এপ্রিল এই কাশ্মীরের বৈসারণ রক্তাক্ত হয়েছে। সেই কাশ্মীরে অত্যন্ত স্পর্শকাতর জোনের তালিকাতেই আছে। বারামুল্লা, কুপওয়ারা, সাব-ডিভিশন (গুরেজ)-এর সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল এবং শ্রীনগর ও অবন্তীপোরা বিমানবন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত স্কুলগুলি আগামী ৯ ও ১০ মে বন্ধ রাখা হবে। পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষিকা,শিক্ষাকর্মী সবার নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত পঞ্জাবের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি গুরুদাসপুরের প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ৮ মে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘Operation Sindur’ সাংবাদিক বৈঠকে যা জানালেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি
পহেলগাঁওয়ের হামলার পরেই, ৭ মে গভীর রাতে প্রত্যাঘাত করে ভারত । সফল হয় অপারেশন সিঁন্দুর। তবে ভারত তার নিজের আকাশসীমা থেকেই এই এয়ার স্ট্রাইক চালায়। পাক সেনার কোনও ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়নি। হামলা চালানো হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে। ৯টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আরও তথ্য দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। এদিন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, বুধবার রাতে সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান।
এই শহরগুলির মধ্যে রয়েছে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভাতিণ্ডা, নাল, ফালোড়ি, উত্তারলাই এবং ভূজ। এছাড়াও সীমান্তবর্তী কুপওয়ারা, বারামুলা, উরি, পুঞ্চ, রাজৌরি। এই হামলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা দিয়েছ ভারত। লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত কোনও সেনাঘাঁটি বা জনবসতি এলাকায় আক্রমণ চালায়নি।
দেখুন আরও খবর-