কলকাতা: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে বিচার শুরুতে আর কোনও বাধা রইল না। বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় বিচার চালাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিতে হবে। অর্থাৎ, পার্থর বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ার পথ প্রশস্ত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও রাজেশ বিনাই এক বিশেষ নির্দেশে রাজ্য সরকারকে এই ছাড়পত্র (sanction of prosecution) দিতে বলেন।
২০২২ সালের ২৩ জুলাই, শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কলকাতার নিজাম প্যালেসে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন থেকেই পার্থ রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। একসময়ের তৃণমূল মহাসচিব, এবং রাজ্য সরকারের শক্তিশালী মন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকে তাঁর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।
আরও পড়ুন: স্বস্তিতে ইতি! প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যে, জারি সতর্কতা
এই মামলার মূল অভিযোগ ছিল, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি ও অবৈধ নিয়োগের ছক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও এই মামলায় ইডি ও সিবিআই-এর নজরে রয়েছে আরও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। পার্থর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটিরও বেশি নগদ টাকা এবং সোনা— এই দুর্নীতির গভীরতা প্রকাশ্যে এনেছিল।
তবে দীর্ঘদিন ধরে মামলার শুনানি ও তদন্ত চললেও বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছিল না, কারণ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা চালাতে রাজ্যের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। এবার সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই নির্দেশের ফলে সিবিআই বা ইডি বিচারিক স্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের পথে এগোতে পারবে।
তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনই জামিন পাচ্ছেন কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বরং সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ তাঁর পক্ষে আরও চাপ তৈরি করল বলেই মত আইন মহলের। রাজনৈতিকভাবে পার্থ প্রায় ব্রাত্য হলেও, এই মামলার দিকেই নজর গোটা রাজ্যের
দেখুন আরও খবর: