ওয়েব ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) ধাক্কা এখনো সামলাতে পারেনি পাকিস্তান। ঠিক সেই সময়েই মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এল বালুচিস্তানে জোড়া হামলা। সোমবার বোলান ও কিচ জেলায় দুটি পৃথক জায়গায় পাকিস্তানি সেনার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA)। এই হামলায় একদিনেই প্রাণ হারান মোট ১৪ জন পাক সেনা। ফের একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল, বালোচিস্তানে জঙ্গি-সহিংসতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ কতটা তীব্র আকার নিয়েছে।
প্রথম হামলাটি হয় বোলান জেলার মাচ এলাকার শোরকান্দে। সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি কনভয়ের উপর হামলা চালায় বিএলএ-র স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশনস স্কোয়াড (STOS)। রিমোট-নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক (IED) দিয়ে ওড়ানো হয় একটি সেনার গাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়িটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যায়, মৃত্যু হয় ১২ জন সেনার। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পাক স্পেশাল অপারেশন কমান্ডার তারিক ইমরান ও সুবেদার উমর ফারুকও।
আরও পড়ুন: “দেশের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা বরদাস্ত করা হবে না,” সাফ বার্তা যোগীর
দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি ঘটে কিচ জেলার কুলাগ টিগ্রান এলাকায়। দুপুর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াড একটি অভিযানে গেলে, সেখানেই ফের রিমোট-নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে হামলা চালানো হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় আরও দুই সেনার। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত চালাচ্ছে।
বিএলএ মুখপাত্র জয়ান্দ বালোচ জানিয়েছেন, এই হামলা ছিল ‘দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বৈধ প্রতিরোধ’। তিনি বলেন, পাক সেনা দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনা যতই ভয়ানক হোক, এই হামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি কতটা ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল। একই দিনে দুটি আলাদা জায়গায় এত বড়সড় হামলা পাকিস্তান সেনার মনোবলকে প্রবল ধাক্কা দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখুন আরও খবর: