ওয়েব ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর ফের বড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। এবার অন্ধ হল দুই দেশের আরেক করিডোর। গভীর রাতে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের পর বুধবার বিকেলের দিকে ভারত সরকার ঘোষণা করেছে যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে কর্তারপুর করিডর (Kartarpur Corridor)। একইসঙ্গে এদিন যেসব ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা (Indian Pilgrims) ইতিমধ্যেই কর্তারপুর গুরুদ্বারায় গিয়েছিলেন, তাঁদের দ্রুত দেশে ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিবৃতি জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন ‘দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন’। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্তারপুর করিডর বন্ধ থাকবে।” ফলে আপাতত শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের পঞ্জাবে অবস্থিত গুরুদ্বারা দরবার সাহিব পরিদর্শনে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর পাকিস্তানকে বিরাট হুঁশিয়ারি শশী থারুরের
বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর জানিয়েছেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারায় যাওয়ার জন্য প্রায় ৫০০ জন তীর্থযাত্রী ইতিমধ্যে নাম লিখিয়েছিলেন। এর মধ্যে ওইদিন সকালেই ১০০ জনের মতো যাত্রী উপস্থিত হন। তবে করিডোর বন্ধ থাকায় তাঁদের দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।” যদিও করিডোর বন্ধের কারণ সম্পর্কে সরকারের তরফে কোনও বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখনও আসেনি।
প্রসঙ্গত, কর্তারপুর গুরুদ্বারা শিখ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। ধর্মগুরু গুরু নানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর এখানেই কাটিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর এই তীর্থস্থান পাকিস্তানের পঞ্জাবে পড়ে যায়। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ২০১৯ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কর্তারপুর করিডোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা কোনও ভিসা ছাড়াই মাত্র ৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে যেতে পারতেন।
দেখুন আরও খবর: