নয়াদিল্লি: ২৫ মিনিটের ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ (Operation Sindoor)। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। পহেলগাম হামলার (Pahalgam Attack) পরই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভারত। ঘটনার ১৫ দিন পর তার কড়া জবাব দিল মোদি সরকার। এই হামলায় কমপক্ষে ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এর মাঝেই আগামিকাল বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক (Central Government Convenes All Party Meet) ডাকল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হবে এই বৈঠক হবে। ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ র পর কি আরও কোনও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে মোদি সরকার? এখন এই প্রশ্নই ঘুরছে দেশের অন্দরে।
দেশের ২৬টি মেয়ের সিঁদুরের বদলা নিতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ, লস্কর–ই–তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ৯টি জঙ্গিঘাটি ধ্বংস হয়েছে।কোটলি, ভাওয়ালপুর এবং মুজফ্ফরাবাদে সফল অপারেশন চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হিন্দু মহিলাদের কাছে সিঁদুরের পৃথক গুরুত্ব আছে। পহেলগাঁও হামলায় ২৬ ভারতীয় মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর মুছে যায়। তারপর এই পাল্টা জবাব দেওয়া হল। তাই এই আক্রমণের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’ যার অর্থ সিঁদুর। এই প্রত্যাঘাতের ঘটনা সামনে আসতেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘ন্যায়বিচার মিলল। জয়হিন্দ।’
আরও পড়ুন: পহেলগামের বদলা নিল ভারত, কী বললেন নরেন্দ্র মোদি
ভারতের কড়া জবাবকে সমর্থন করেছেন দেশের মানুষজন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরাও ভারতীয় সেনাকে কু্র্ণিশ জানিয়েছেন। কারণ পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা পহেলগাঁওতে নির্মম হামলা চালিয়েছিল। যার প্রতিশোধ নেওয়া গিয়েছে আজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ থেকে শুরু করে ‘জয় হিন্দ’। ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর সফল অভিযানের জেরে সেনাবাহিনীর মনোবল এখন তুঙ্গে উঠেছে। গত ২৫ এপ্রিল সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকে ওই বৈঠক হয় ২২ এপ্রিল হামলার প্রেক্ষিতে। ওই সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই ছিলেন না। এবার থাকবেন।
অন্য খবর দেখুন