ওয়েবডেস্ক: নবাবের মাটিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফর। সম্প্রতি সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকা। ধূলিয়ান ও শামসেরগঞ্জে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত্যু হয় তিনজনের। সেই সব বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অশান্তিতে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফর। ঘটনার সময় নবান্ন থেকে তিনি পরিস্থিতি সামাল দেন। এদিন সুতির (Suti) অনুষ্ঠান থেকে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আশাতেই প্রহর গুনছেন এলাকাবাসী। সীমান্ত (Border Area) সংলগ্ন ওই এলাকা থেকে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও বার্তা দেন কি না মুখ্যমন্ত্রী সেদিকেও নজর থাকবে। কারণ ওই উত্তেজনার পর বাংলাদেশ যোগসূত্র সামনে এসেছিল। ঘটনার বেশ কিছু দিন আগে সেখানে বাংলাদেশের যুবকরা এসেছিল। এদিন হেলপ্যাডে কলকাতা থেকে বহরমপুরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিরাপত্তা উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে জঙ্গীপুর মহকুমা এলাকা। এদিন সুতিতে একটি স্কুল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভাজন ঘটাচ্ছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চারপাতার খোলা চিঠি লিখেছিলেন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। হিন্দুত্বের মেরুকরণ বিজেপির অস্ত্র। উন্নয়ন দিয়ে সেই অস্ত্র ভোঁতা করে দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের দাবি, এই জেলায় ২২টি আসনের মধ্যে ২০টিই তৃণমূলের। ২টি বিজেপির। আগামী বছরের ভোটে ২২টিই তৃণমূলের হবে।
আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় বৃষ্টির ভ্রুকুটি
পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবু অনেকের মনে আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে। ঘর ছেড়ে অনেককে সংলগ্ন মালদহে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়। ঘর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে অনেকের। মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষক বলছিলেন, এই সপ্তাহেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তাঁর কথাতেই বলি, ধর্মের বেশে মোহ এসে যারে ধরে, অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে। সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ব দরকার। কিছু মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতী এই ধরনের নোংরা ঘটনা ঘটায়। অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। এখনও যারা বাইরে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। রং, ধর্ম না দেখে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। পিছিয়ে পড়া জেলায় উন্নয়নের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই দাবিও মুর্শিদাবাদবাসীর।
দেখুন অন্য খবর: