ওয়েবডেস্ক: ‘সংস্কৃত একটি বিজ্ঞানসম্মত ভাষা (Sanskrit Scientific Language) , নাসাও (Nasa) এই ভাষাকে সেইভাবে স্বীকৃত দিয়েছে, এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা (Rakha Gupta)। রবিবার নয়াদিল্লিতে ১০ দিনের সংস্কৃত শিক্ষা উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃত ভাষার গৌরবের দিক তুলে ধরলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
রেখা গুপ্তা বলেন, নাসার বিজ্ঞানীরাও সংস্কৃত ভাষাকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন যে, এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত ভাষা। সংস্কৃত ভাষায় কোডিং করা যায়। সংস্কৃত হল সবচেয়ে কম্পিউটার-বান্ধব ভাষা।
সংস্কৃতে জ্ঞান প্রতিনিধিত্ব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি রিক ব্রিগস দ্বারা রচিত। সম্ভবত ১৯৮৫ সালের একটি গবেষণাপত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, এবং পরবর্তীতে খুব কম ফলোআপের মাধ্যমে এর মহিমা প্রকাশ হয়, যা এআই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। নাসা আমেস রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত একজন গবেষক, যিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে “একটি প্রাকৃতিক ভাষা একটি কৃত্রিম ভাষা হিসেবেও কাজ করতে পারে।”
আরও পড়ুন: ভারত পাক সীমান্তে রাজস্থানে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার পাক সেনা
ব্রিগস, যার সম্পর্কে আর খুব কমই জানা যায়, তিনি প্রবন্ধে প্রাচীন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদদের উদ্ধৃতি দিয়েছেন যারা “সংস্কৃতকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করার একটি পদ্ধতি” “সম্পন্ন” করেছিলেন যা কেবল সারাংশেই নয় বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বর্তমান কাজের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
माननीय केंद्रीय गृह एवं सहकारिता मंत्री श्री @AmitShah जी की गरिमामयी उपस्थिति में दिल्ली विश्वविद्यालय के नॉर्थ कैंपस स्टेडियम में आयोजित संस्कृत भारती के 1008वें संस्कृत संभाषण शिविर के समापन समारोह में सहभागी होने का सौभाग्य प्राप्त हुआ।
माननीय श्री अमित शाह जी के साथ मंच पर… pic.twitter.com/zLOXymLRWh
— Rekha Gupta (@gupta_rekha) May 4, 2025
রেখা গুপ্তা বলেন, সমাজে বিদেশি ভাষায় সাবলীলতা বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়, যদিও প্রায়শই সংস্কৃতকে সেখানে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সমাজে আমাদের সন্তানেরা যদি ফরাসি, জার্মান বা ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলে, তাহলে আমরা সেই বাচ্চাটিকে খুব মেধাবী মনে করি, গর্ব করি। কিন্তু যখন একটি বাচ্চা একই সাবলীলতার সঙ্গে সংস্কৃত বলতে পারে, তখন এটি কোনও বড় বিষয় বলে বিবেচিত হয় না। সংস্কৃত কেবল ভারতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি নয়, বরং অনেক ভারতীয় ভাষার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক রাজ্যের একটি মাতৃভাষা আছে, কিন্তু বাস্তবে, সংস্কৃত আমাদের মাতৃভাষা, কারণ প্রতিটি ভাষাই সংস্কৃত থেকে এসেছে। হিন্দি, মারাঠি, বাংলা, সিন্ধি, মালায়ালাম, এগুলো সবই সংস্কৃতের শাখা। “আমরা যদি বিশ্বনেতা হতে চাই, তাহলে আমাদের সংস্কৃতের মাধ্যমে আরও জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
রেখা গুপ্তা বলেন, দিল্লি সরকার ভাষাটিকে আরও সহজলভ্য করার জন্য কাজ করবে, বিশেষ করে সরকারি স্কুলের মাধ্যমে।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দিল্লির মন্ত্রী কপিল মিশ্র।
উল্লেখ্য, দিল্লি সরকার এনজিও সংস্কৃত ভারতীর সহযোগিতায়, ২৩ এপ্রিল থেকে শহরের স্কুল, কলেজ এবং মন্দির জুড়ে ১,০০৮টি স্থানে বিনামূল্যে সংস্কৃত ক্লাস শুরু করেছে। যেখানে প্রতিদিন দুই ঘন্টার সেশনে ভাষাজ্ঞান দেওয়া হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর-