ওয়েবডেস্ক: ‘রাম গোরুড়ের ছানা…।‘ পাড়ার রক উঠে গিয়েছে। চণ্ডীমণ্ডপ তো ইতিহাসের পাতায়। সিনেমাতেও কমেডিয়ানের চরিত্র কমে আসছে। ত্রৈলোক্যনাথ মুখুজ্জে, শিবরাম চক্কোত্তিদের অভাব স্পষ্ট। দেখা নেই রস সাহিত্যের। সবাই এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। হাসার ফুরসত নেই। বিজ্ঞানের নিয়মেই না হাসার জন্য মনে চাপ (Mental Pressure) পড়ছে। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে তাই লাফিং ক্লাবে নাম লেখাচ্ছেন। হিন্দিতে কপিল শর্মা, বাংলায় মীর। উপস্থাপকদের তত্ত্বাবধানে কয়েকটি রিয়েলিটি শো হাসানোর ভার নিয়েছে। অবশ্য হাসিতেও (Laughing) এখন বেড়া পড়ছে। কুণাল কামরার মতো কমেডিয়ানের (Comedian) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজনীতিতেও আজকাল হাসাবার লোকের বড় অভাব। অটল বিহারীদের যুগ অস্তমিত। লালুপ্রসাদরা হারিয়ে গিয়েছে। ফলে রসিকতা গোল্লায় গিয়েছে। অথচ এই হাসি নিয়ে ছড়ার পর ছড়া লেখা হয়েছে। সিনেমা হয়েছে। মধুবালা, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, মাধুরী দীক্ষিতের হাসির প্রেমে পড়েননি এমন সিনেমাপ্রেমীর হয়তো দেখা মিলবে না। আজ, ৪ মে বিশ্ব হাসি দিবস (World Laughter Day) পালন হল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। রবিবার এই চর্চা শোনা গেল বিভিন্ন জায়গায়।
হাসির উপকারিতার বিষয়ে সচেতন করতেই এই দিন পালন করা হয়। স্বাস্থ্য, শান্তি ও খুশির জন্য হাসি। এদিকে হাসি দিবস উপলক্ষেও রাজনীতির আক্রমণ বাদ গেল না। এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে হাসা মানা। নিজেদের ঝুঁকিতে হাসুন। সরকার কোনও দায়িত্ব নেবে না।
আরও পড়ুন: নৌসেনার পরে এবার বায়ুসেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক মোদির
এখন একাকিত্ব বাড়ছে। মানুষ বেশি করে পোষ্যদের আঁকড়ে ধরছে। হাসি দিবসের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এই দিনটা শুধুই মানুষের জন্য নয়। প্রাণীদের জন্যও। অনেকেই বলছেন বিভিন্ন প্রাণীদেরও মানুষের মতো না কি হাসি রয়েছে। এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সেই সব প্রাণীদের দিকে। শিম্পাঞ্জি: শিম্পাঞ্জির হাসি অনেকটা মানুষের মতোই। গোরিলা: গোরিলাদের হাসিও অনেকটা মানুষের মতো। খেলার সময় ওরা মানুষের মতোই আচরণ করে। কুকুর: কুকুরের হাসিও অনেক সময় মানুষের মতো দেখায়। এছাড়া হায়না, পেঙ্গুইন, হাতিদের হাসির সঙ্গেও না কি মানুষের হাসির মিল রয়েছে বলা হয়। আজকের দিনে আওয়াজ উঠুল মন খুলে হাসুন। হাসান।
দেখুন অন্য খবর: