মনে আছে আমাদের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে আমাদের চৌকিদার কাম চায়ওয়ালা যিনি নাকি এন্টায়ার পলিটিকাল সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রি হাসিল করেছেন তাঁর ভাষণ। তিনি হিন্দু ভোটারদেরকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়, তাঁর ভাষণের আগেই আরও উগ্র বিষ ছড়িয়ে আদিত্যনাথ যোগী বলেছিলেন, বটেঙ্গে তো কটেঙ্গে। মানে বিভক্ত হলেই ওরা আমাদের কেটে ফেলবে। না, এই অসভ্য নোংরা কথার প্রতিবাদ আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেননি, বরং তাকে সাপ্লিমেন্ট করেছিলেন, এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়। কেন বলছিলেন এই কথাগুলো? বলছিলেন কারণ ততদিনে সব দ্বিধা দ্বন্দ্বকে সরিয়ে রেখে এমনকী কংগ্রেসও জাতিগত জনগণনার পক্ষে সোচ্চার হওয়া শুরু করেছে, হ্যাঁ কংগ্রেস বলছে জাতিগত জনগণনা করতেই হবে। তার আগেই বিহারে নীতীশ তেজস্বী সরকারের ছোট্ট সময়ে ওই নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই তো জাতিগত জনগণনা হয়েই গেছে। সেই পাল্টিকুমার নীতীশ বাবু এখন আবার এনডিএ-র সঙ্গে, কাজেই চাপ তো ছিলই। সেদিন মঞ্চ কাঁপিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন এই মোদিজি, বলছিলেন হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে এই ইন্ডিয়া জোট, এই কংগ্রেস দল, আমরা বিভাজিত হলে, মানে হিন্দুরা বিভাজিত হলেই নেমে আসবে মুসলমানদের অত্যাচার, এমনকী হিন্দু রমণীর মঙ্গল সূত্রও কেড়ে নেবে সেই লুঠেরারা, সে কী ভুরু নাচিয়ে ভাষণ। তো গতকাল সেই মোদিজি ঘোষণা করে দিলেন, হবে জনগণনা, তার সঙ্গেই হবে জাতিগত জনগণনা। রসিকজনের কেউ কেউ বললেন, সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?
আসলে এমন তো নয় যে মোদিজি খুব সরল মনে মেনে নিলেন এই জাতিগত জনগণনা, না বরং এটা তার সাময়িক রণকৌশল, ওয়ান স্টেপ ব্যাকওয়ার্ড, টু স্টেপ ফরোয়ার্ডের নীতি মেনেই তিনি আপাতত কিছুটা পিছু হঠলেন। জাতীয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতা মেনেই তিনি নিজেকে রিপোজিশনিং করলেন। কিন্তু কবে হবে সেই জনগণনা? কবে হবে সেই জাতিগত জনগণনা? সেসব কেউ জানে না, তিনি আপাতত ঘোষণা দিয়েই মুখরক্ষা করার চেষ্টা করলেন কারণ তাঁর উপরে চাপ বাড়ছিল। ঠিক যেমনভাবে উনি মহিলা বিল পেশ করেছেন, পাশ করিয়েছেন, যেমনভাবে উনি সিএএ বিল পাশ করিয়েছেন কিন্তু লাগু করেননি, ঠিক সেইরকমভাবেই এটাও এক ধরনের ফেস সেভিং অ্যানাউন্সমেন্ট, জাতিগত জনগণনা হবে, ব্যস। কবে হবে? কীভাবে হবে? সেসবের কোনও ঘোষণা নেই। ২০১৪ র নির্বাচনী ভাষণগুলো দেখুন, বিজেপির, নরেন্দ্র মোদির। হালকা ফুলকা, এখানে ওখানে হিন্দুত্ব ইত্যাদির কথা থাকলেও, মূল এজেন্ডা ছিল কংগ্রেসের দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, নারী সুরক্ষা, বিকাশ, উন্নয়ন ইত্যাদির কথা। ক্ষমতায় আসার পরেও এই একই কথা শোনা গেছে বহুদিন। তারপর বিজেপির তৃতীয়, দ্বিতীয় শ্রেণির নেতাদের বক্তব্য পাল্টাতে থাকল, এরপর হিন্দুত্বের এজেন্ডা নিয়ে আরএসএস-এর শাখা সংগঠন, বিভিন্ন বাবাজি, মাতাজিদের গলার সুর পাল্টাতে শুরু করল।
লিঞ্চিং শুরু হল, গরুর মাংস নিয়ে যাচ্ছে, পুড়িয়ে মারো পিটিয়ে মারো, এবার দু’ একজন করে, অনুরাগ ঠাকুর, গিরিরাজ সিংয়ের মতো প্রথম সারির নেতারা হিন্দুত্বের কথা বলতে শুরু করলেন। আমাদের পরধান সেভক তাঁর স্টান্সে সামান্য বদল আনলেন, তিনি মুসলিম তোষণ, সংখ্যালঘু তোষণ ইত্যাদির কথা বলতে থাকলেন, কিন্তু সরাসরি হিন্দুত্বের কথা বললেন না, বলার দরকারও ছিল না। বেনারসে ২৩টা ক্যামেরা সামনে রেখে গঙ্গাস্নান, শিবের মাথায় দুধ ঢালা বা অযোধ্যা মন্দিরের শিলান্যাস ইত্যদি তো ছিলই, যা বলার চেয়েও অনেক বেশি কার্যকরী। ২০১৪ থেকে ধারাবাহিকভাবে আমাদের দেশের পলিটিক্যাল সিনারিও এইভাবেই বিবর্তিত হচ্ছিল। ২০১৪ থেকে একেবারে দেশজুড়ে কোনও নতুন ন্যারেটিভ বিজেপি তৈরি করেনি, এনআরসি এনেছে, কৃষক বিল এনেছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলেছে, তালাকের বিরুদ্ধে বিল পাশ করিয়েছে, এসব তো ওনাদের এজেন্ডার মধ্যেই ছিল, হ্যাঁ সেগুলো ঝপাঝপ কার্যকরী করা হয়েছে, কিন্তু বাবরি মসজিদ ভেঙে যেমন এক নতুন যুগের সূচনা করতে পেরেছিলেন তেমন নয়, আবার মণ্ডল কমিশন রিপোর্ট আনার পরে দেশের রাজনীতি যেমন এক কোয়ালিটেটিভ চেঞ্জ-এর দিকে গিয়েছিল, সেরকমটাও কিন্তু এই নয়-সাড়ে নয় বছরে হয়নি।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | তাজমহল থেকে কুতুব মিনার ভ্যানিশ
বিজেপি করেনি, কিন্তু সেই কাজটা করে দিল বিরোধীরা। বাংলায় থেকে তেমন বোঝা যাবে না, কিন্তু হিন্দি হার্টল্যান্ডে, গোবলয়ে সমস্ত ইকুয়েশন নতুন করে তৈরি হচ্ছে এই বিহারের কাস্ট সেন্সাস, জাতিগত জনগণনা রিপোর্ট বের হওয়ার পরে। হ্যাঁ, অনেকদিন পরে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধীদের ঠিক করে দেওয়া এজেন্ডা নিয়ে রিয়্যাক্ট করছে, ইন ফ্যাক্ট কী বলবে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না। কাজেই সব মুখোশ খুলে নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদিকে মাঠে নামতে হয়েছিল, না তাঁর ওই সব সবকা সাথ সবকা বিকাশ ইত্যাদির বাওয়াল পাশে সরিয়ে রেখেই তিনি তাঁর দাঁত নখ বের করেছিলেন, মুখোশ খসে গেছিল, চার রাজ্যের নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নিজামাবাদে মঞ্চ থেকে মোদিজি সেটাই স্পষ্ট বুঝিয়েছিলেন। ডেভেলপমেন্ট গেছে গড়ের মাঠে ঘাস কাটতে, উনি এখন হিন্দুত্ব নিয়েই মাঠে নামছেন। বিজেপিও জাতপাতের বিরুদ্ধে কথা তো বলে, কিন্তু তার লক্ষ্য আলাদা, কেবল ব্রাহ্মণ বা উচ্চবর্ণের সমর্থন দিয়ে হিন্দুরাষ্ট্র সম্ভব নয়, সেটা জেনেই এক ব্রাহ্মণ্যবাদী রাজনৈতিক দল হিন্দু ঐক্যের কথা বলা শুরু করেছিল। আসুন আমাদের দেশের এই বর্ণভেদ, জাতিভেদ নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারাগুলোকে বোঝা যাক। প্রথম ধারা অবশ্যই লোহিয়াপন্থীদের, তারা বুঝেছিল, পিছড়া বর্গ, পিছিয়ে পড়া জাতি মানে আসলে গরিব, আর আপার কাস্ট মানে বড়লোক, ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সেদিন যদি এই সত্যিটা বুঝতে পারত, তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হত, কিন্তু আমাদের দেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের বোধবুদ্ধি আছে এমন অপবাদ কেউ দেয় না। তো পিছিয়ে পড়া জাতি, দলিত, ওবিসি ইত্যাদি নিয়ে রাজনীতির প্রথম ধারা হল ওই সমাজবাদীরা, লোহিয়া থেকে লালু। মুলায়ম আছেন, নীতীশ আছেন।
দ্বিতীয় ধারা হল দীনদয়াল উপাধ্যায়, তিনি জাতির রাজনীতিটা ধরেছিলেন, ওবিসি, দলিত, নন জাঠভ দলিত ইত্যাদিদেরকে না নিলে হিন্দুত্ব হেরে যাবে বুঝেছিলেন, কাজেই এক ধরনের জাতি সমন্বয়ের রাজনীতির কথা তিনি বলতে থাকেন, যা আমরা মোদিজির গলাতেও এখন শুনছি। এটা হল দ্বিতীয় ধারা, দীনদয়াল থেকে মোদিজি। তিন নম্বর ধারা মধ্যেই জন্ম নিয়েছে, আরও দলিতদের সঙ্গে নিয়ে কাশীরাম থেকে মায়াবতী। কিন্তু আপাতত সে ধারা কনফিউজড, তাদের খানিক জমি কেড়েছে সমাজবাদীরা, লালু, নীতীশ, অখিলেশ, তেজস্বীরা, আর খানিক খেয়েছে বিজেপি। বাকি যা পড়ে আছে তাতে বাটিতে রাখা চিঁড়েও ভিজবে না, আপাতত সংসদে একজন সাংসদও নেই, ভোট চলে যাচ্ছে অখিলেশের দিকে, বিজেপির বিরোধিতা করতে পারছে না কারণ ইডি আর সিবিআই ধরে জেলে পুরে দেবে, ভূরি ভূরি মামলা ঝুলছে। এই তিন ধারার মধ্যে এক দীর্ঘ সময় ধরে লোহিয়া লালুর ধারা দেশের রাজনীতিতে প্রভাবশালী ছিল, আজ থেকে নয়, সেই কবে বিহারে কর্পুরি ঠাকুর উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, পরে মুখ্যমন্ত্রীও হন, এবং সেই সময় থেকে বিহারে আর কোনও আপার কাস্টের নেতা মুখ্যমন্ত্রী হতেই পারেননি। উত্তরপ্রদেশেও ব্রাহ্মণদের জমানা গিয়ে এমনকী বিজেপি সরকারেও কল্যাণ সিং, এক লোধ সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হয়েছিল ওই মুলায়মকে সামলাতে। লোহিয়া লালু ধারার পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের আর এক সমর্থনভূমি ছিল সংখ্যালঘু মুসলমানেরা, যা দীনদয়াল-মোদি ধারাতে ঠিক উলটো, ছিল আপার কাস্টের মানুষজন, আর নন ডোমিন্যান্ট লোয়ার কাস্টের লোকজনের সমর্থন। মানে উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে যাদবদের নয় বরং লোধ, জোলা, পাশি ইত্যাদিদের সমর্থন, যাদের সঙ্গে পিছিয়ে পড়া হলেও যাদব ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই ছিল।
দক্ষিণেও এইভাবেই পিছিয়ে পড়া মানুষেরা ওই ৬৬-৬৭ থেকেই রাজনীতিতে নেমেছেন, ডিএমকে তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় এসেছিল সেই ৬৭-তেই, কেরালাতে কমিউনিস্টরা, এমনকী কংগ্রেসও দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে সঙ্গে রাখতে পেরেছিল। উত্তর আর দক্ষিণে এই পিছিয়ে পড়া জাতির রাজনীতিতে আসার মধ্যে একটা বড় ফারাক ছিল, দক্ষিণে এই দলিত উত্থান, দ্রাবিড় উত্থান ছিল এক সামাজিক উত্থান, আন্দোলন, ই ভি রামস্বামী পেরিয়ারের হাত ধরে, আন্নাদুরাইয়ের হাত ধরে সেটা হয়েছিল। উত্তরে কিন্তু এই সামাজিক আন্দোলনটা হয়নি, কেবল রাজনৈতিক জোট হয়েছে, দল হয়েছে, নেতা হয়েছে। কাজেই দক্ষিণে পিছিয়ে পড়া জাতির মানুষেরা পরবর্তীতে যতখানি এগিয়ে যেতে পেরেছেন, যতটা শক্তপোক্ত হয়েছে তাঁদের ভিত্তি, তার অর্ধেকেরও অর্ধেক হয়নি উত্তরে, হিন্দি গোবলয়ে। কাজেই যে যখন যে জাতির সমর্থন পেয়েছে, সে রাজা বনে গেছে, দরিদ্রতম পিছিয়ে পড়া জাতির রামবিলাস পাসোয়ান প্রতিদিন নতুন গেঞ্জি পরতেন, সেই গেঞ্জি যেত এই কলকাতা থেকে। তেজস্বী যাদবের জন্মদিন পালন হয় মাঝ আকাশে প্লেন ভাড়া করে। নরেন্দ্র মোদি পিছিয়ে পড়া জাতির, ওবিসির একজন যিনি দিনে তিনবার জামা পাল্টান, পকেটে লক্ষ টাকা দামের পেন রাখেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের আর পরের দুটো ছবি পাশাপাশি রাখুন বুঝতেই পারবেন স্পষ্ট যে উনি কতটা চকচকে ঘি তেলতেলে হয়েছেন এই ক’ বছরে।
কিন্তু উত্তর ভারতেও এই রাজনৈতিক লড়াইয়ে হঠাৎই ভূচাল, ভুমিকম্প এনে দিয়েছিল নীতীশ-তেজস্বীর সরকার। জাতিগত জনগণনার রিপোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মুসলমান দলিতদের বাদ দিলেও ৬৩-৬৪ শতাংশ মানুষ পিছিয়ে বা অতি পিছড়ে বর্গের মানুষ। এবার স্বাভাবিক দাবি ভাগেদারি চাই, হিসসেদারি চাই। নির্বাচনের ইস্যু তো এটাই, বিরোধীরা এজেন্ডা তুলে ধরেছিল। তখন বিজেপির সমস্যা দু’দিকেই, মানলে আপারকাস্টের ভোটদাতারা বুথেই যাবেন না, সেটাও তো ১৫ শতাংশ, না দিলে ওবিসি আর ইবিসিদের ভোট পাওয়া যাবে না, সংখ্যালঘুদের ভোটের তো প্রশ্নই নেই। সংসদে বসেই অমিত শাহ বলতে শুরু করেছিলেন বিজেপি কত ওবিসি, ইবিসিকে টিকিট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন ওবিসি। ওবিসি, ইবিসি মানুষজন শুনেই বলবেন বেশ তো, এবার চাকরির সংরক্ষণটা বাড়াও আম আদমি তো সাংসদ হতে চায় না, বিধায়ক হতে চায় না। কিন্তু সেখানেই বিজেপি মিথ্যের পর মিথ্যে বলে চলেছে। বিকাশ হয়নি, চাকরি নেই, মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া তার উপরে পিছিয়ে পড়া জাতিদের এই হিসেব তাদেরকে বাধ্য করছে মুখোশ খুলে দিতে। তাই নিজামাবাদের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন সেই দুই হিন্দু যুবককে পিটিয়ে খুন করার, যে খুনের অভিযোগ মুসলমান সমুদায়ের দিকেই তোলা হয়েছে। এই প্রথম মিঃ মোদি দেশের এক লিঞ্চিংয়ের ঘটনা, পিটিয়ে মারার ঘটনাকে নিয়ে চিন্তিত বলে অন্তত জানিয়েছিলেন। কিন্তু না, আদৌ সেটা তাঁর চিন্তা নয়, তাঁর চিন্তায় আছে হিন্দুত্বের পুনরুত্থান, তিনি আপাতত এই বিষই ছড়িয়ে যাবেন, তিনি মণিপুরের ধর্ষণ আর নগ্ন করে ঘোরানোর বিরুদ্ধে ৪৫ দিন একটা কথাও বলেননি, হাথরসের ধর্ষণ নিয়ে একটা কথাও বলেননি, অজস্র পিটিয়ে মারার ঘটনা নিয়ে একটা কথাও বলেননি, কিন্তু হঠাৎই তাঁর মনে হয়েছে একটা ঘোষণা তো করে দেওয়া যাক, উনি জল মাপছেন আর বিহার বিধানসভা ভোটের আগে নীতীশকে সামলাচ্ছেন, তা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু সমস্যা হল তাঁর ঘোষণার পরেই উজ্জীবিত বিরোধীরা এবারে সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঢাকনা খুলে দেওয়ার দাবি করছেন, দাবি তো উঠবেই, জিসকি জিতনি হিসসেদারি, উনকি উতনি ভাগেদারি। এবং তখন আসল খেলাটা শুরু হবে, মোদিজি তৈরি থাকুন, নিজের কবর নিজেই খুঁড়লেন, অবশ্য তাছাড়া কোনও বিকল্প পথও তাঁর খোলা ছিল না।