ওয়েবডেস্ক: ভোটার তালিকা (Voter list) সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজে যুক্ত BLO দের সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। ভোটারদের আস্থা অর্জনে BLO দের এই পরিচয় পত্র গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির কাজে ERO দের দ্বারা নিযুক্ত এই BLO দের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিল শাসক দলগুলো। অন্যদিকে মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কাজ সহজ করতে সরাসরি রেজিস্টার জেনারেলের কাছ থেকে ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী ক্ষেত্রে BLOরা সেই তথ্য যাচাই করে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরিতে রিপোর্ট জমা দেবে।
আরও পড়ুন: এপিক নাম্বার এক মানেই ভুয়ো ভোটার নয়, বিবৃতি দিল নির্বাচন কমিশন
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চের দিক থেকেই সরগরম হয় রাজ্য-রাজনীতি। নেতাজি ইন্ডোর থেকে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে একই এপিক নাম্বারে দুই জন ভোটার ইস্যুতে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, সারা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন ভোটার খতিয়ে দেখতে। দলীয় নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে কর্মীরা ভুতুড়ে ভোটার ইস্যুতে বাড়ি বাড়ি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ এই রাজ্যে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার, এসব জায়গা থেকে ভুয়ো নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, ‘ভোটার তালিকা ক্লিন করতে হবে। একজনও ভুতুড়ে ভোটার রাখা যাবে না।
এই কাজের জন্য দলীয় কর্মীদের সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি কোন গাফিলতি হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া বলেও জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর থেকেই একের পর এক বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। এক বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়ে দেয়, ডুপ্লিকেট ভোটার মানেই ভুয়ো ভোটার নয়। EPIC নম্বর “অভিন্ন হতে পারে’ কিন্তু জনসংখ্যার বিবরণ, বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র সহ অন্যান্য বিবরণগুলি আলাদা।
নির্বাচনী প্যানেল অনুযায়ী, এপিক নাম্বার অনুযায়ী একজন ভোটার শুধুমাত্র তাদের রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তাদের মনোনীত ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন যেখানে তারা ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অন্য কোথাও নয়। নির্বাচন কমিশনের দাবি অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে একটা সময় ভোটার কার্ড তৈরি এবং বিলি করা হত। তাই কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এপিক কার্ডের নম্বর এক হয়ে থাকতে পারে।
দেখুন অন্য খবর