কলকাতা: বড়বাজারের (Burrabazar Hotel Fire) মেছুয়া এলাকার (Massive Fire Hotel Falpatti Machhua) হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরি-স্টিফেন কোর্টের স্মৃতি ফেরলা। মেছুয়ার ফলপট্টির হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৪। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে দিঘায় আছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ফোন করে এই ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। এই বেসরকারি হোটেল নিয়ে তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পরই গোটা বিষয়টি নিয়ে দিঘা থেকে টেলিফোনে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফোন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপদে যাতে সেখান থেকে সকলকে বের করা হয় সে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আর আহতদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আজ মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে। মৃতদেহগুলিকে কলকাতা মেডিক্যাল, এনআরএস, আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের ২ লাখের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
আরও পড়ুন: মেছুয়া বাজার অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের ২ লাখের ক্ষতিপূরণ, ঘোষণা মোদির
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর চেষ্টা করেন কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, হোটেলে কমপক্ষে ৪৭ টি ঘর ছিল। অধিকাংশতেই ছিল না জানলা। ফলে ধোঁয়ায় বাড়ে বিপত্তি। দমকলকর্মীদের ভিতরে প্রবেশে হিমশিম দশা হয়। প্রায় আট ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। আতঙ্কে একজন কার্নিশ থেকে ঝাঁপিয়ে দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও কমপক্ষে ১৩ জনের।
অন্য খবর দেখুন