ওয়েব ডেস্ক: কানাডার নির্বাচনে (Canada Elections 2025) কাজে এল না ট্রাম্পের (Donald Trump) হুমকি। মার্কিন প্রভাবকে রীতিমতো উপেক্ষা করে লিবারেল পার্টিকেই (Liberal Party) শাসনভার তুলে দিল কানাডার নাগরিকরা। ডোনাল্ড ট্রাম্পঘেঁষা বলে পরিচিত কনজারভেটিভ (Conservative Party) নেতা পিয়ের পলিভিয়ের নয়, কানাডার জনসমর্থন পেল লিবারাল পার্টি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কানাডার ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির (Mark Carney) লিবারাল পার্টি।
এখনও অবধি লিবারালরা ১০৮টি আসনে জয়ী হয়েছে এবং আরও ৫৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। যদিও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় আসনসংখ্যা থেকে এখনও ১০টি আসন কম রয়েছে তাদের ঝুলিতে, তবুও সবচেয়ে বড় দল হিসেবে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে লিবারেলরা। এদিকে কনজারভেটিভ পার্টির ঝুলিতে এই মুহূর্তে ১০২টি আসন।
আরও পড়ুন: অন্ধকারে ডুবল ইউরোপ! একাধিক দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, কিন্তু কেন?
যদিও এক সময় মনে করা হচ্ছিল, লিবারাল পার্টির পরাজয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা। জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) আমলে মূল্যবৃদ্ধি, শরণার্থী সমস্যা ও খলিস্তানি অশান্তির জেরে কোণঠাসা ছিল শাসক দল। ঠিক এই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করে লেখেন, “কানাডার উচিত এমন কাউকে ভোট দেওয়া, যিনি আমেরিকার করের চাপ কমাতে পারবেন।” সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, কানাডার উপর নতুন কর চাপিয়ে গোটা দেশটিকে আমেরিকার একটি প্রদেশে পরিণত করবেন।
তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য রীতিমতো চটিয়ে দেয় কানাডাবাসীকে। ট্রাম্প-ঘেঁষা পলিভিয়েরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ভোটাররা। বদলে, লিবারাল পার্টির নতুন মুখ এবং সদ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকারী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বাড়তে থাকে। রাজনীতিতে নবাগত হলেও তাঁর নেতৃত্বেই ঘুরে দাঁড়ায় লিবারাল পার্টি। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে সরকারের ভাবমূর্তি পালটে দিলেন এই প্রাক্তন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার।
দেখুন আরও খবর: