নয়া দিল্লি: পুলওয়ামার (Pulwama) ঘটনার পর ফের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর (Surgical Strike) উঠলেও, বর্তমানে তা কার্যত অর্থহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিরোধী শিবির সরকারকে সন্ত্রাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেও, আজকের বিশ্বরাজনীতির বাস্তবতায় সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ভারতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হতে পারে। রাশিয়া, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মধ্যপ্রাচ্য এবং এমনকি চীনের মতো শক্তিধর দেশও বর্তমানে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের অর্থনীতি অতিমারির পর দুর্বল ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এমনকী, কোভিড-পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ভারত থেকে সাহায্যের আবেদন করেছিল, যা ভারত প্রত্যাখ্যান করে শ্রীলঙ্কাকে সহযোগিতা করেছিল। যদিও যুদ্ধের হুমকি ছড়িয়ে পড়ছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের নৌবাহিনী ও সামরিক শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রস্তুত নয়। এই মুহূর্তে সিন্ধু জলচুক্তি ভেঙে পাকিস্তানকে চাপে ফেলার সুযোগও সীমিত, কারণ চুক্তিটি বিশ্বব্যাংক দ্বারা স্বীকৃত এবং যেকোনও একতরফা পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: আরও বড় নাশকতার ছক! কাশ্মীরে ৮৭’র মধ্যে ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করা হল
চীনের ভূমিকা নিয়েও সতর্ক থাকা জরুরি। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে চীন ব্রহ্মপুত্রের জল প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই কূটনৈতিক ব্যর্থতার ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি পাকিস্তানের উপর হামলা চালানো আজ ভারতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। বিশ্বমঞ্চে ভারতের অর্জিত সহানুভূতি ও আস্থা কোনও ভুল পদক্ষেপেই ধ্বংস হতে পারে।
ফলে প্রশ্ন উঠছে— বিশ্ব কি পাকিস্তানের ভিতরে গণতন্ত্রের পথে ফেরার জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে? সামরিক শাসন থেকে পাকিস্তানকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন এবং সুসংহত শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়াই কি হবে শেষ পর্যন্ত সঠিক সমাধান?
দেখুন আরও খবর: