কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) শিয়ালদহ কোর্টে তৃতীয় ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দিল সিবিআই (CBI)। তদন্তকারী সূত্রের খবর, নতুন করে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের উল্লখ করা হয়েছে স্টেটাস রিপোর্টে (Status Report)। নজরে রাখা হয়েছে ২০০টি ভিডিও ক্লিপের উপরেও। সোমবার আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের জানান, মৃত্যুর পরও তাঁর ফোন কেউ বা কারা ব্যবহার করেছেন। নির্যাতিতার হোয়টসঅ্যাপ সক্রিয় ছিল। অভিযোগ, ফোন বাজেয়াপ্ত হলে কী ভাবে, সেই ফোন ব্যবহার হল? সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আরজিকরের ওই ভয়াবহ ঘটনার পরেই পুলিশ নির্যাতিতার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল। বর্তমানে সেই ফোন যায় সিবিআইয়ের কাছে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয় মৃত্যুর কয়েক মাস পরে নির্যাতিতার মোবাইল ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সিবিআই হেফাজতে থাকা মোবাইল নম্বর দিয়ে কীভাবে হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ হল?শিয়ালদা আদালতে একটি মুখবন্ধ খামে তারা এই বিষয়টি জানিয়েছে। সেখানেই লিখিত ভাবে এই দাবি করেছে চিকিৎসক-পড়ুয়ার পরিবার। যদিও আদালতে এটার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য’ তালিকা থেকে নাম বাদ, হাজরায় বিক্ষোভে চাকরিহারারা
এদিন বিচারক বলেন, কিছু বলার থাকলে সিবিআইকে জানান। কারণ তারাই এই কাণ্ডের তদন্ত করছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, নির্যাতিতার পরিবারের যদি কিছু বলার থাকে তাহলে সেটা তাঁদের জানাতেন। নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, অনেক তথ্যই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তার কী ফলাফল হয়েছে, তা তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আরজি করের ঘটনা কী ভাবে ঘটল এবং তার আগে ও পরে কী হয়েছিল, তা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ওই ‘সিনপসিস’-এ জানানো হয়েছে। ১০জুন পরবর্তী স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে আদালতে তিন পাতার ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীরা তখন জানিয়েছিলেন, নতুন ২৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। হাসপাতালের আরও কিছু জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন করে তিন জনের কল ডিটেলস দেখা হচ্ছে বলেও আগের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল।
দেখুন ভিডিও