ওয়েবডেস্ক: বলা হত ফ্রান্সিস (Pope Francis) ছিলেন গরিবের পোপ। অনেকে যে বিষয়গুলি দেখতে পেতেন না, তাঁর গোচরে সেগুলি থাকত। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫- পোপের দায়িত্বে তিনি ছিলেন। মানবিকতার নেতা। মুক্তমনা। চার্চকে তিনি আরও মানুষের কাছাকাছি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর অনুরাগী, ভক্তরা একের পর এই ধরনের মন্তব্যে ভরিয়ে দিচ্ছেন। শনিবার ভ্যাটিকান সিটিতে (Vaticancity) কফিনে শায়িত পোপ ফ্রান্সিসের নশ্বর দেহ। সেখানে হাজির আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump), প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি সহ ৫০টি দেশের রাষ্ট্রনেতারা। এছাড়া সমগ্র বিশ্ব থেকে অগত লক্ষ লক্ষ ভিআইপি। এদিন তাঁর শেষকৃত্য (Funeral) মানুষের ঢল নামল। গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। ক্যাথলিক রীতি মেনে এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে। এদিনই পরবর্তী পোপ বেছে নেওয়ার জন্য ক্যথলিক নেতৃত্ব বৈঠকে বসবেন।
ইতালি সরকার নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করে। ১৪০ কোটি রোমান ক্যাথলিকের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ছিল পোপ ফ্রান্সিসের হাতে। সারা বিশ্ব এদিন তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। টিভির সামনে বসে লাইভ সম্প্রচার দেখেন ভক্তরা। কলম্বিয়ার বাসিন্দা ৬১ বছরের মনিকা পেনাগোজ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, পোপের মৃত্যুর পর তিনি খুব কেঁদেছেন। তিনি পরিযায়ীদের পোপ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতকে রক্ত বইয়ে দেওয়ার হুমকি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির পুত্রের
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, পোপ ভালো মানুষ। যিনি বিশ্বকে ভালোবাসতেন। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্পের এই প্রথম বিদেশ সফর। চড়া হারে ৭৫টি দেশের উপর শুল্ক চাপানোর পর অনেক রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন।
দেখুন অন্য খবর: