ওয়েবডেস্ক: দেখে মনে হতে পারে ওঁরা দুজন যুদ্ধক্ষেত্রের সৈনিক (Soldier)। একজন, আহত সৈনিককে পিঠে চাপিয়ে ছুটছেন। কোনও হাসপাতালের দিকে ছুটছেন। এবরো খেবরো উঁচু নীচু জনমানবহীন উপত্যকায় ছুটছেন। সাদা গেঞ্জি, কালো প্যান্টের মধ্য বয়সী যুবক পিঠে এক জখমকে নিয়ে মনেপ্রাণে ছোটার চেষ্টা করছেন। হয়তো তাঁকে চেনেনও না। পহেলগাঁওয়ের হামলায় এক জখমকে এভাবেই এক কাশ্মীরের (Kashmir) যুবক পিঠে করে নিয়ে ছুটলেন। পহেলগাঁও (Pahalgam) হামলায় জড়িতরা স্থানীয় রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সদস্য যা আদতে পাকিস্তানের লস্কর ই তইবার (Laskar E Taiba) সঙ্গে জড়িত। এরপরই একাংশ কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। সেখানে দৃষ্টান্ত এই ভিডিও।
ভিডিওটি সামনে এলেও ওই কাশ্মীরের যুবকের পরিচয় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। ওঁর পরিচয় জানার বোধ হয় দরকার নেই। কাশ্মীরের ওই যুবক মানবতার প্রতীক। মঙ্গবার পহেলগাঁওয়ের হামলায় ২৭ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে আচমকাই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তাঁরা। ৭-৮ জনের দলে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় তাঁদেরকে। ওই কাশ্মীরের যুবক জখম পর্যটকদের বাঁচানোর জন্য জান লড়িয়ে দেয়। তবে দেশ এতক্ষণে জেনে গিয়েছে কাশ্মীরের অন্য এক যুবকের বীরত্বের কাহিনী। সৈয়দ আদিল হুসেন শাহ। পর্যটকদের বাঁচাতে যাওয়ায় জঙ্গিদের বন্দুকের গুলি তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়। কাশ্মীরের এই ২৮ বছরের যুবক জঙ্গিদের একজনের বন্দুক কেড়ে নিতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি। পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে জঙ্গিরা গুলি করে। কাশ্মীরের এই যুবক ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। নিরীহ পর্যটকদের বাঁচাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি ইনসানিয়াতের প্রতীক। মানবতার ধর্মের প্রতীক।