ওয়েবডেস্ক: ফিরল ২০২৩ ভয়াবহ স্মৃতি (2023 Horrible memories) । তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্কের (Turkey) ইস্তানবুল (Istanbul) । রাস্তায় নেমে এলেন শহরবাসী। আতঙ্কে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ! রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.২। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যায়নি। ইস্তানবুলে ভূমিকম্পের (Earthqake) কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিল্ডিং, অফিসগুলি থেকে বহু মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল ইস্তানবুল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে মারমারা সাগরে। এবার রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প ছাড়াও ৬.২, ৩.৯, ৫.৯. ৪.৪. ৪.৮, ৪.৫ ও ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টায় শ্রীনগর ছাড়ল তিন হাজারের বেশি পর্যটক
তুরস্কের দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থা এএফএডি বলছে, মারমারা সাগরের সিলিভ্রির উপকূলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর, একের পর এক আফটারশক অনুভূত হচ্ছে।
কম্পনের একাধিক ভিডিয়ো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, আতঙ্কে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি তৈরি হয়েছে। ভয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে অনেকেই। এমনকি প্রাণ বাঁচাতে জানলার ব্যালকনি থেকে লাফ দেয় অনেকে।
ব্রকাস্টার TGRT-র রিপোর্ট থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভবনগুলি কাঁপতে থাকে। এইসময় এক ব্যক্তি আতঙ্কে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মারেন। যার জেরে তিনি আহত হয়েছেন। এখনও বিপদের আশঙ্কা থাকায় বহুতলগুলিতে ঢুকতে মানুষকে নিষেধ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। দক্ষিণ তুরস্কে জোড়া ভূমিকম্পে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এর আগে। দেশের ১১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেইসময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও। সেখানেও ৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৯৯ সালের ইজমিট ভূমিকম্পে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যায়।
দেখুন আরও খবর: