ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা! মৃত্যু একাধিক। তালিকায় রয়েছে কলকাতার যুবকেরও নাম। টালিগঞ্জের বিতান অধিকারী, স্ত্রী এবং তাঁর তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন, আর সেখানেই ভয়ঙ্কর পরিণতির সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেছে বিতানের। তবে এই একই পরিণতি হতে পারত নদিয়ার এক দম্পতির সাথেও। বরাত জোড়ে বেঁচেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত টালিগঞ্জের বাসিন্দা
দুঃসাহসিক জঙ্গি হানায় বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর বউবাজারের দম্পতি। তবে চোখে মুখে এখনও তাঁদের আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । জানা যাচ্ছে, জঙ্গি হামলা যখন চলছিল ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরেই ছিলেন এই দম্পতি। ভগবান দর্শনে গিয়ে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেছে নদিয়ার দম্পতি।
বর্তমানে শ্রীনগরে থেকে পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর বউবাজারের বাসিন্দা সুদীপ্ত দাস এবং তার স্ত্রী দেবশ্রুতি দাস গিয়েছিলেন কাশ্মীরে হানিমুনে । আর আজ তাঁরা পহেলগাঁওয়ের পাশেই ছিলেন মিনি সুইজারল্যান্ড নামক একটি জায়গাতে। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে একটি শিব মন্দিরে গিয়ে তারা মন্দির দর্শন করার সময় খবর পান জঙ্গিহানা হয়েছে। তাতেই প্রাণ গেছে বহু পর্যটকের। এরপর কোনরকমে কাশ্মীরি বাসিন্দাদের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন শ্রীনগরে। বর্তমানে একটি হোম স্টেতে রয়েছেন তাঁরা। তবে যাদের সাথে এতদিন ঘোরাফেরা করলেন সেই সমস্ত পর্যটকদের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত দাস দম্পতি। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৎপরতাও যথেষ্ট রয়েছে কাশ্মীর জুড়ে। সেই কথাও জানিয়েছে নদিয়ার দাস দম্পতি। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, জঙ্গি হামলায় কলকাতার বাসিন্দা বিতানের প্রাণ গেছে। জানা যাচ্ছে, তিনি এক বেসরকারি আইটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে সরকার বিতানের স্ত্রী এবং সন্তানকে কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। জঙ্গি হামলায় বিতানের মৃত্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মঙ্গলবার রাতেই উপস্থিত হন বিতানের বাড়িতে।
দেখুন অন্য খবর