ওয়েবডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill) প্রতিবাদে উত্তপ্ত বাতাবরণ বইছে গোটা দেশে। তার আঁচ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। সেখানে সুতি (suti), সামশেরগঞ্জ (Samsherganj), ধুলিয়ান (Dhulian) উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধুলিয়ানের জাফরাবাদের বাসিন্দা বাবা-ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি হয়। নিহত হয় আরও এক নাবালক।
ঘর বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বহু সরকারি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মানুষ ভয়ে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবাদীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এর পরেই হস্তক্ষেপ করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সাধারণ মানুষ ভয়, আতঙ্কে বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানায়। এখনও ত্রস্ত মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ। ঘর ফিরতে ভয় পাচ্ছে তারা। তাদের বক্তব্য, ভয়ে ঘুমোতে পাচ্ছি না, চোখ বুজলেই সব চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
আরও পড়ুন: শালবনিতে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, দেখুন সরাসরি
এই আবহে এবার মেদিনীপুর থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসনিক সভা থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, কোনও ভয় নেই, নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। যা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমরা দাঙ্গা চাই না। দুটো ওয়ার্ডে হয়েছে । বহিরাগতরা এই কাণ্ড করেছে। কিছু স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে এই ধরনের কাণ্ডকারখানা চলছে, সব ফাঁস করে দেব।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাঙ্গায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তাদের সন্তানকে পড়াশোনার দায়িত্ব সরকার নেবে। যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে তারা বাংলার বাড়ি পাবে। দোকান সার্ভে করা হয়েছে, মে মাসে যাব, করে দেওয়া হবে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
প্রসঙ্গত, এদিকে বাবা-ছেলেকে নৃশংসভাবে খুনে ওড়িশার ঝাড়সুগুদা থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । আটক করা হয়েছে ৬ জনকে । ধৃত ২ জনকে জেরা করে বাকি ৬ জনের খোঁজ মেলে।
গতকালই মেদিনীপুরের শালবনিতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জিন্দাল গোষ্ঠীর বিনিয়োগে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সেইসঙ্গে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি।
দেখুন আরও খবর: