কলকাতা: প্রায় ২০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত এখনও এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থানে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা (SSC Jobless Teachers)। চাকরিহারাদের পাশে এবার জুনিয়র চিকিৎসকেরা! জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের (SSC Jobless Teachers Agitation) অন্যতম প্রধান মুখ অনিকেত মাহাতো এবং দেবাশীষ হালদার চাকরিহারদের বিক্ষোভ সমাবেশে রয়েছেন। মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি (জুটা)। যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে এবার যাদবপুরে পড়ুয়ার। অধ্যাপক সংগঠনের তরফে এক সদস্য মঙ্গলবার এসএসসি দফতরের সামনে এসেছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। সরকার যোগ্য-অযোগ্যদের গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে ওদের দাবি মেনে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা ঘোষণা করা হোক।
রাতভর অবস্থানের পর মঙ্গলবার নিজেদের দাবি থেকে কিছুটা সরলেন আন্দোলনকারী যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা (SSC Job Loss Teachers’ Protest)। তাদের এখন দাবি যদি এসএসসি যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করতে না পারে তাহলে তারা যেন যারা ট্রেন্টের অর্থাৎ অযোগ্য তাদের যাতে অবিলম্বে বহিষ্কার করে। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা চত্ত্বর। তারই মাঝে এসএসসি ভবনের বাইরে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান।আচার্য সদন থেকে কেউ বেরনোর চেষ্টা করলেই গর্জে উঠছেন চাকরিহারারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, কী বলছেন? দেখুন সরাসরি
এসএসসি ভবনের বাইরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক শিক্ষাকর্মী। দীর্ঘ অনশন, আন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আন্দোলনস্থলে এখনও পর্যন্ত কোনও বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা হয়নি। শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ চাকরিহারা জল কম খাচ্ছেন, অনেকে জল খাচ্ছেন না। এত গরম, তার মধ্যে জল কম খাওয়ায় শরীর খারাপ করতে শুরু করেছে অনেকের। আন্দোলনরত মহিলা যাতে সেখানে শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য স্থানীয় তিনটি বাড়ির একতলা খুলে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে কমিশনের দফতরের ভিতরে খাবার প্রবেশ করতে দেননি আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ। মঙ্গলবার সকালেও চা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বিধাননগরের ডিসি অনীশ কুমার আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন যাতে এসএসসি ভবনের ভিতরে জল এবং খাবার নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া না হয়। এর কিছু ক্ষণ কিছু বিস্কুট, কলা, তরমুজ এবং জলের ব্যবস্থা করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
অন্য খবর দেখুন