ওয়েব ডেস্ক: বিয়ের শংসাপত্র (Marriage Certificate) প্রদানে কর্ণাটক ওয়াকফ বোর্ডের (Karnataka Waqf Board) আইনি অধিকার নিয়ে যে মামলা চলছে, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের (Interim Stay Order) মেয়াদ বৃদ্ধি করল কর্ণাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি ওয়াকফ বোর্ড ও তার অধীনস্থ আধিকারিকদের মুসলিম বিবাহের (Muslim Marriage) শংসাপত্র প্রদানের অনুমতি দিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এ আলম পাশা নামের এক ব্যক্তি।
মামলাকারীর দাবি, ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের মূল উদ্দেশ্য ও কাঠামো অনুযায়ী, সরকারের এই ধরনের শংসাপত্র প্রদানের ক্ষমতা নেই এবং এমন নির্দেশিকা অসাংবিধানিক। তাই তা বাতিলের আর্জি জানানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওয়াকফ বোর্ডের আদৌ কি মুসলিম বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে বৈবাহিক শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে? আদালতে সেই প্রশ্নও তুলেছেন আবেদনকারী।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী ব্রিটেনেরও নাগরিক? রিপোর্ট চাইল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
সরকারি আইনজীবী ও অন্যান্য পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানিয়েছে, এই নির্দেশিকার উপর আগে জারি করা স্থগিতাদেশই আপাতত বহাল থাকবে। মামলার শুনানি ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে একাধিকবার হলেও, রাজ্য সরকার শুধুমাত্র হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যই সময় চেয়ে এসেছে। এই দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সেই কারণে হতাশা প্রকাশ করে কর্ণাটক হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই শেষবারের মতো রাজ্য সরকারকে সময় দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৯ জুনের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। এরপর ১১ জুন পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: