কলকাতা: ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনের অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshibadbad) বিস্তীৰ্ণ এলাকায়। একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের দোকান, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধরের কারণে আহত হন বহু মানুষ। এই অশান্তিতে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা উঠে এল সমীক্ষার রিপোর্টে। সেই রিপোর্টের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে। প্রাথমিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশের বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (CS Manoj Pant) নির্দেশ দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে।
শনিবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানেই তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়ির তালিকা পাঠাতে হবে। তাঁদের বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের দোকান ভেঙেচুরে দেওয়া হয়েছে, তাঁর তালিকাও পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০৯ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা বাংলার বাড়ি টাকা পেয়ে যান তার পদক্ষেপ করতে হবে বলে বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, যে দোকানগুলি ভাঙচুর হয়েছে তার সমীক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে। শনিবার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, দফতর সচিবদের নিয়ে হওয়া বৈঠকেই মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।
আরও পড়ুন: বেআইনি বালি খাদান, জলা জমি ভরাট নিয়ে কড়া অবস্থান নবান্নর
প্রসঙ্গত, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে গত শনিবার থেকেই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাধ্যমতো সমস্ত রকমের সাহায্যই করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, টিউব লাইট, সুইচ বোর্ড, সুইচ, টর্চের, বালিশ বিছানা-সহ একাধিক জিনিসপত্রও দেওয়া হচ্ছে। আরও কী ভাবে ‘দুর্গত’-দের পাশে দাঁড়ানো যায়, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদহের বৈষ্ণবনগরের ক্যাম্পে বহু ঘরছাড়া মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। দ্রুত বাকি ঘরছাড়াদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।
অন্য খবর দেখুন