ওয়েবডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোর (Netaji Indoor) স্টেডিয়ামে ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের (Imam-Muazzin) পাশের থাকার বার্তা দিয়ে ওয়াকফ বিল (Waqf Bill) পাস নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। ওয়কফ বিল পাস করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঙ্কার কি দরকার ছিল এত তাড়াহুড়ো করে ওয়াফক বিল পাস করার? সংবিধান সংশোধন না করে কেন ওয়াকফ আইন পাস করা হল?
নেতাজি ইন্ডোরের এই মেগা বৈঠক থেকে ইমাম মোয়াজ্জেমদের পাশে থাকার কথা দিয়ে রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই বলেন, আমি আছি, আমার উপর ভরসা রাখুন। মঞ্চে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে শিখ এবং হিন্দু পুরোহিতদের পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দিতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: “সবথেকে বড় ভোগী…,” ইমামদের সভা থেকে যোগীকে তোপ মমতার
এদিন ওয়াকফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান তুলে ধরে বলেন, এই আইন সংবিধানে যে সম্পত্তির অধিকারের কথা আছে, তা ভেঙেছে। সংবিধানে ১৮ ও ৩৫ অনুচ্ছেদে সম্পত্তির উপর রাজ্য সরকারের অধিকারের কথা বলা আছে। সেটা রাজ্য বিধানসভার এক্তিয়ারভুক্ত। সেই অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে এই আইন করে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। সংবিধানের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে যে কোনও ধর্ম পালনে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রে সম্পত্তি অর্জন ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকারও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনারা সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন।
মমতার ফের হুঙ্কার, আমি এখানে উস্কানিমূলক কথা বলতে আসিনি। ১৯৩৪ সালে তৈরি হয়েছে বাংলার ওয়াকফ আইন। ১৯৫৪ সালে তৈরি হয় জাতীয় ওয়াকফ আইন। আর এই ২০২৫ সালে সংশোধনী আইন হল।
কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী তোপ, আমার কি কারুর ব্যক্তিগত মানুষের সম্পত্তিতে অধিকার আছে? তেমন আপনারাও অধিকার নেই, কারও ব্যক্তিগত বা ধর্মীয় সম্পত্তি অধিকার করার।
সংশোধিত ওয়াকফ বিল পাসের আগে থেকেই সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, আইন কার্যকর হবে না বাংলায়’।
এর আগে সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাংলায় কার্যকর করতে দেবেন না বলে, একইভাবে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর হয় সিএএ। বহু মানুষ সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। সেবারেও মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় হিংসা ঘটনার ঘটে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেমে রাজ্যের মানুষকে হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারেও ওয়াকফের বিরোধিতায় একইভাবে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার হুঙ্কার এই আইন বাংলায় কোনওভাবেই কার্যকর হতে দেবেন না তিনি।
দেখুন অন্য খবর: