ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকা-চীন শুল্কযুদ্ধ (Tariff Conflict) নিয়ে আপাতত সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। একদিকে যেমন চীনা (China) পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তেমনই আবার বেজিংয়ের তরফেও মার্কিন (USA) পণ্যের উপর জারি হয়েছে নয়া শুল্ক। ঠিক যেন ‘ঠান্ডা লড়াই’-এ মেতেছে বিশ্বের দুই মহাশক্তি। আর এবার এর সরাসরি প্রভাব দেখা গেল দু’টি দেশের আমদানি-রফতানির উপর।
সম্প্রতি, মার্কিন বহুজাতিক বিমান সংস্থা বোয়িং (Boeing) থেকে আর কোনও বিমান বা যন্ত্রাংশ অর্ডার না করার নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। বেজিং তাদের দেশীয় উড়ান সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। ব্লুমবার্গ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতির প্রতিবাদস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন সরকার।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বালোচিস্তান, মৃত ৩, এখন কী অবস্থা?
উল্লেখযোগ্যভাবে, ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের উপরে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপিয়েছে। এর জবাবে চীন আমেরিকার বিমান শিল্পে বড় ধাক্কা দিতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বোয়িং-এর মতো সংস্থার ক্ষেত্রে চীনের মতো বড় বাজার হারানো নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা।
তবে আমেরিকার এই শুল্কযুদ্ধ শুধু চীনের বিরুদ্ধেই নয়। ট্রাম্প প্রশাসন ভারত, গত ২ এপ্রিল থেকে কানাডা-সহ আরও বহু দেশের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানো হলেও চীনের উপর তা কয়েকগুণ বেশি। যদিও কিছুটা চাপ কমাতে সম্প্রতি মোবাইল, কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক চিপসের উপর শুল্কছাড় দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এর ফলে চীন সাময়িকভাবে কিছুটা স্বস্তি পেলেও বেজিং-এর দাবি, আমেরিকাকে এই নতুন শুল্কনীতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
দেখুন আরও খবর: