ওয়েবডেস্ক: এবছরই বিহার বিধানসভা ভোট (Bihar Assembly Election)। তার আগে এনডিএতে (NDA) টানাপোড়েন বাড়ছে। এনডিএর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক হ্যাম। যাঁর শীর্ষ নেতা জিতনরাম মাঝি (Jitanram Manjhi) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি ইতিমধ্যেই দর বাড়াতে শুরু করেছেন। গত লোকসভা ভোটে একটিমাত্র আসনে লড়াই করেছিল তাঁর দল। গয়া থেকে সেই আসনে জিতে সাংসদ হয়েছেন প্রবীণ এই নেতা। তিনি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। রবিবার দলের জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকের পর তিনি বলেন, আমাদেরকে এনিডএর তরফে লোকসভায় দুটি ও রাজ্যসভায় একটি আসন দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। বিহার বিধানসভায় গতবার হ্যাম ৭টি আসনে লড়ে চারটি আসনে জয়ী হয়। জিতনরামের বক্তব্য, আমরা ৩০-৪০ টি আসনে লড়তে চাই। যাতে আমরা অন্তত ২০টি আসন পেতে পারি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও জেডিইউ-র কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় ঝায়ের কাছে বিষয়টি নিয়ে যাবেন।
জিতনরামের বক্তব্য, আমার পার্টি কর্মীরা বিজেপি ও জেডিইউর দ্বারা ‘সাইড লাইনড’ হয়ে রয়েছে। জেপি নাড্ডা ও সঞ্জয় ঝা নিশ্চিত করেছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের পার্টিকে দুটি লোকসভা আসন ও একটি রাজ্যসভা আসন দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আনুগত্যের কারণে যা দেওয়া হয়েছে আমরা মেনে নিই। জেডিইউ ও হ্যাম ছাড়াও বিহারে এনডিএতে রয়েছে লোকজন শক্তি পার্টি ও রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশহাওয়ার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। এবার দেশে নরেন্দ্র মোদির সরকার এনডিএর শরিকদের উপরেই নির্ভর করতে হয়েছে। বিশেষ করে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারের উপর। ফলে বিহারে এনডিএতে সমস্যা বাড়লে চাপ পড়বে তাঁর সরকারের উপরেও।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইনের বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর
দেখুন অন্য খবর: