রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভূম (Western Singhbhum) জেলার সরান্ডা জঙ্গলে (Saranda forest) আইইডি বিস্ফোরণ (IED Blast) । বিস্ফোরণে আহত তিনজন নিরাপত্তারক্ষী (security guard) । এদের মধ্যে একজন সিআরপিএফ-এর কোবরা ব্যাটালিয়নের সহকারি কমান্ড্যান্ট। বুধবার এই খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
মাও দমন অভিযান (Maoist ) চালানোর সময় বালিবা (Baliba) অঞ্চলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর আহত সেনাদের দ্রুত উদ্ধার করে রাঁচিতে বিমানপথে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
আরও পড়ুন: রাশিয়া সফরে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, একাধিক ইস্যুতে আলোচনার সম্ভাবনা
পশ্চিম সিংভূম জেলার পুলিশ সুপার আশুতোষ শেখর এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। এই অভিযানে সক্রিয়তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত ১০ দিন ধরে মাও দমন অভিযানে, পশ্চিম সিংভূম জেলায় বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, নিয়াপত্তা বাহিনী হুসিপি গ্রামের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালায়, যা মাওবাদী-প্রভাবিত টোন্টো থানার অন্তর্গত। তল্লাশিতে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
পুলিশ সুপার শেখর জানান, এই অভিযানে দুটি ১০ কেজি ওজনের আইইডি উদ্ধার হয়, যা বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড দ্বারা সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি দেশি পিস্তল, দুটি কারবাইন, একটি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, ১৩ রাউন্ড .৩০৩ বোরের কার্তুজ, আটটি ৭.৬২ মিমি গুলি, ৫৮টি ডেটোনেটর, তিনটি ওয়্যারলেস সেট, পাঁচটি কর্ডেক্স তারের বান্ডিল এবং ৯৫টি স্পাইক রড।
৪ মার্চ, টোন্টো থানার অন্তর্গত হুসিপি জঙ্গলে একটি মাওবাদী শিবির ভেঙে দেওয়া হয়। নিরাপত্তা বাহিনী দুটি ১০ কেজি আইইডি নিষ্ক্রিয় করে এবং সেখান থেকে একটি দেশের তৈরি পিস্তল, দুটি কার্বাইন, একটি রাইফেল, একটি ১০ কেজি আইইডি, ৫৮টি ডেটোনেটর এবং অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, টোন্টো থানা এলাকায় দুটি মাওবাদী ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে একটি মার্কিন তৈরি এম-১৬ রাইফেল এবং ৫০০টিরও বেশি গুলি রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সিনিয়র সিপিআই-মাওবাদী নেতা মিসির বেসরা, আনমোল, মোচু, আনাল, অসীম মন্ডল, অজয় মাহাতো, সেগেন আঙ্গারিয়া এবং অশ্বিন তাদের স্কোয়াড নিয়ে সরান্ডা এবং কোলহান অঞ্চলে কাজ করছেন৷
তাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
২০২৬ সালের মধ্যেই মাওবাদী কার্যকলাপ নির্মূলের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর থেকেই মাও দমন অভিযান অতি সক্রিয়তার সঙ্গে শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দেখুন অন্য খবর: