ওয়েব ডেস্ক: মোটা টাকা আয়। কাজে বিশেষ দক্ষতা না হলেও চলে। আরবে গেলেই অনায়াসে লাখপতি হওয়া যায়। এই আশায় এখন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, কেরল সহ প্রতি বছর হাজারে হাজারে যুবক যুবতী ভিড় করছেন আরবের বিভিন্ন দেশে। সেখানকার মুদ্রার মূল্য ভারতের বাজারে অনেক গুণ বেশি। ফলে মোটা টাকা আয় করতে পারেন তাঁরা। কোনও দিক না ভেবে শুধু টাকার আশায় দালাল সহ নিরাপত্তার নিশ্চয়তাকে গুরুত্ব না দিয়েই অনেক সময় যাচ্ছেন শ্রমিকরা। তাতেই এবার একটি করুণ ঘটনা সামনে এলে। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বান্দা জেলার গয়রা মুগলাই গ্রামের ৩৩ বছরের শেহজাদি খান (Shahzadi Khan) একটি শিশুর দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (UAE) আবুধাবিতে কর্মরত ছিলেন। গতকাল, সোমবার তাঁর পরিবার জানতে পারল গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফাঁসি (Executed) দেওয়া হয়েছে। শিশুকে খুনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ বিদেশ মন্ত্রক থেকে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে কোনও তথ্য জানতে পারেনি শেহজাদির পরিবার। দিল্লি হাইকোর্টের দ্বাস্থ হয়েছিল তাঁর পরিবার। সেখানেই বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছেন। মেয়েকে হারিয়ে সর্বস্বান্ত ওই পরিবারের সদস্যরা ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে, যেন মেয়ের শেষ কৃত্যে তাঁরা যেতে পারেন।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর ওই শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শেহজাদি জেলবন্দি ছিলেন। ওই বছরের ৩১ জুলাই তাঁর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়। তাঁর পরিবারের আইনজীবীর অভিযোগ, বিচারের নামে খুন করা হয়েছে ওই তরুণী পরিযায়ী শ্রমিককে। শেহজাদির বাবা সাব্বির খান বলেন, সরকার আমার দুবাই যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। যাতে যাতে আমরা তাঁর শেষ কৃত্যে অংশ নিতে পারি। গত ১৪ তারিখ মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। কোনও তথ্য না পেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করি। তাতে জানা যায় গত ২৮ তারিখ বিদেশ মন্ত্রক তাঁর মৃত্যুর কথা জানতে পারে। শেহজাদির পরিবারের তরফে আইনজীবী আলি মহম্মদ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আদালত নিযুক্ত আইনজীবী শেহজাদিকে দোষ স্বাকীর করতে বলেছিলেন। কিন্তু শেহজাদি জানিয়েছিলেন তিনি দোষ করেননি।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে স্বস্তি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর, কী বলল দিল্লি হাইকোর্ট?
দেখুন অন্য খবর: